আলিপুরদুয়ার শহরে নিউটাউনে স্যানিটারি সামগ্রীর দোকান করতেন বলাইমোর এলাকার বাসিন্দা পার্থ প্রতিম সাহা। তিনি যে দোকানে এই ব্যবসা করতেন, সেটি তাঁর বাবা বিরেন্দ্র কুমার সাহার কেনা দোকান। কিন্তু দীর্ঘ দুই বছর থেকে বাবা ও মাকে খোরপোষ বাবদ তিনি কোন টাকা দিচ্ছিলেন না বলে এসডিও কোর্টে হাজির হয়েছিলেন বাবা। অবশেষে আদালত নির্দেশ দেয়, বাবার দোকান ফাঁকা করে দিতে হবে ছেলেকে। কিন্তু তাতেও ছেলে রাজি না হওয়ায় এদিন মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে পুলিশ ও প্রশাসন দোকান ফাঁকা করে দিয়েছে। দোকানের সব মালপত্র বাইরে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
advertisement
আরও পড়ুন : ভিড় দোকান, চলছে দেদার বেচাকনা! আচমকা হানা ‘ওঁদের’! দুর্গাপুজোর আগে যা ঘটল শহরে…
এদিন ছেলে পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, আমি বাবা মাকে আমাদের সঙ্গে থাকতে বলেছিলাম। কিন্তু বাবা তাতে রাজি নন। উনি আলাদা থাকবেন এবং আমার কাছ থেকে খোরপোষের টাকা নেবেন। কিন্তু আমার ব্যবসা খারাপ চলায় আমি টাকা দিতে পারতাম না। এই অসুবিধের কথাটা বাবাকে জানিয়েছিলাম। বাবা হিসেবেই তা বলেছিলাম। কিন্তু বাবা শুনতে চাননি। আমার দোকান খালি করে দিয়ে গেল। এখন আমার মরে যাওয়া ছাড়া আর অন্য কোনও উপায় নেই।
আরও পড়ুন : ছুটতে হবে না গুজরাত! এবার বাংলার বুকেই হাটকেশ্বর মহাদেব মন্দির, কোথায় তৈরি হচ্ছে?
এদিকে ষাটোর্ধ বাবা বিরেন্দ্র কুমার সাহা বলেন, আমার দোকান। আমি কিনেছি। ছেলে টাকা না দিলে আমি নিজেই এখানে ব্যবসা করব। চায়ের দোকান করব। দীর্ঘ দুই বছর ধরে আমাকে খোরপোষ দেয় না। অবশেষে আমি ডিএম, এসডিও কোর্টে হাজির হয়ে সমস্যা সমাধান করলাম।