ভিড় দোকান, চলছে দেদার বেচাকনা! আচমকা হানা 'ওঁদের'! দুর্গাপুজোর আগে যা ঘটল শহরে...

Last Updated:

আচমকাই শহরের বিভিন্ন খাবারের দোকানে ঢুকে পড়লেন ক্রেতা ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। দেখে হা করে চেয়ে থাকলেন সকল বিক্রেতা।

+
খাবারের

খাবারের দোকানে হানা ফুড সেফটি আধিকারিকদের

আলিপুরদুয়ার, অনন্যা দে: অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবার বহালতবিয়তে চলছিল ফাস্ট ফুড ও মিষ্টির দোকান। আচমকাই শহরের বিভিন্ন খাবারের দোকানে ঢুকে পড়লেন ক্রেতা ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। দেখে হা করে চেয়ে থাকলেন সকল বিক্রেতা।
এই সব দেখে দোকানদার থেকে শুরু করে হতবাক ক্রেতারাও। কিছুক্ষণের মধ্যে দোকানের আনাচে কানাচে সমস্ত জায়গা দেখে ফেললেন তারা। এরা কারা? উঠতে লাগল প্রশ্ন। কিছুক্ষণের মধ্যে সব পরিষ্কার হয়ে গেল সকল ব্যবসায়ীর কাছে। দোকানে এসেছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। হাতে গোনা আর কয়েক দিন বাকি। এরপরেই শুরু হবে উৎসবের পর্ব। প্রথমে বিশ্বকর্মা পুজো তারপরেই শুরু হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজো দুর্গোৎসব। বছরের অন্যান্য সময় কাজের সূত্রে হোক বা অন্য কারণে, বাড়ি ছেড়ে দূর দূরান্তে থাকলেও, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের সময় আলিপুরদুয়ার জেলা শহরে ফেরেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। তখন যেন এক মিলন মেলায় পরিণত হয় এলাকা।
advertisement
উৎসবের ওই ক’দিন প্রায় বেশিরভাগ মানুষই বাড়ির বাইরে বিভিন্ন মিষ্টির দোকান, বিভিন্ন হোটেল বা রাস্তার ধারে থাকা বিভিন্ন খাবারের দোকান থেকে খাবার খেয়ে থাকেন। ফলে খাবারের গুণতগতমান কম হলেও অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকে। সেই কারণে উৎসব চলাকালীন শহরবাসীদের সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে বিভিন্ন খাবারের গুণগত মান যাচাই করতে অভিযানে নামলেন আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা।
advertisement
advertisement
জানা গিয়েছে, এদিন ক্রেতা সুরক্ষা, খাদ্য  এবং স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা যৌথভাবে আলিপুরদুয়ার শহরের বিভিন্ন খাবারের দোকানে হানা দেন। দোকানে থাকা খাবারের খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখেন। যে সমস্ত দোকানে ন্যূনতম ত্রুটি উদ্ধার হয়, তাদের কড়া বার্তা দেন। যেমন, পরিষ্কার জায়গায় খাওয়ার তৈরি করতে হবে। খাবারের কোনও ধরনের রং মেশানো চলবে না। যেকোনও খাবার খবরের কাগজে পরিবেশন করা যাবে না। এমনকি নিজেদের তৈরি প্যাকেটে থাকা খাবারের মধ্যে প্রস্তুতির তারিখ এবং সংস্থার নাম ও ফোন নম্বর উল্লেখ রাখতে হবে। প্রত্যেককে সতর্ক করা হয়।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কোনও হোটেল বা খাবারের দোকানে খাবার পরিবেশন করার সময় হাতে গ্লাভস ও মাথায় ক্যাপ পরে পরিবেশন করা বাধ্যতামূলক বলে দোকানদারদের নির্দেশ দেওয়া হয় আধিকারিকদের পক্ষ থেকে। কোনও দোকানদার প্রশাসনিক এই সমস্ত নির্দেশ উলঙ্ঘন করলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারও দেন অভিযানে থাকা আধিকারিকরা। জানা যায়, দু’দিন ব্যাপী এই অভিযান চলবে আলিপুরদুয়ার শহরের বিভিন্ন হোটেল, মিষ্টির দোকান ও  স্ট্রিট ফুডের দোকানগুলিতে।
advertisement
অভিযানে থাকা আধিকারিকরা শহরবাসীদের আশ্বস্ত করে জানান, পুজো চলাকালীন বিভিন্ন খাবারের দোকানে প্রচুর ভিড় হয়। সেই সময় বেশিরভাগ দোকানদারি সরকারি নিয়মশৃঙ্খলা লঙ্ঘন করে ব্যবসা চালান। সেই কারণে যেন কোনও মানুষ অসুস্থ হয়ে না পড়েন এবং কোনও দুর্যোগ দেখা না দেয় প্রশাসন সেই বিষয়ে কড়া নজরদারি চালাবে।
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
ভিড় দোকান, চলছে দেদার বেচাকনা! আচমকা হানা 'ওঁদের'! দুর্গাপুজোর আগে যা ঘটল শহরে...
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement