মেচ জনজাতির পোশাক পড়ে ক্ষেতে দেখা গেল জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে। কৃষি দফতরের অধিকারিকদের থেকে নিলেন ধানের চারা। তার পর এক পা কাদা নিয়ে ধান ক্ষেতে ধানের চারার পুজো দিলেন তিনি। এর পর এক এক করে ধানের চারা রোপণ করতে দেখা গেল তাঁকে। আমন ধানের ক্ষতির থেকে রেহাই দিতে পারে কালো নুনিয়া, এমনটাই আশা এলাকার কৃষষকদের। কালচিনি ব্লকের লতাবাড়ির বিশ্বনাথ পাড়ায় রোপণ করা হয়েছে কালো নুনিয়ার চারা। আবহাওয়ার কারণে অন্যান্য ধান রোপণে দেরি হলেও সঠিক সময়ে এই ধান রোপণ করা হয়েছে বলে দাবি কৃষি দফতরের। এই ধানের চাহিদা বেশি থাকায় অন্যান্য ধানের ক্ষতির মুখ থেকে এই ধান বাঁচাতে পারে বলে দাবিও কৃষি দফতরের। সাংস্কৃতিক কাপড় পড়ে কৃষকদের সঙ্গে ধান রোপণে হাত লাগান জেলা পরিষদের সভাধিপতি স্নিগ্ধা শৈব। এছাড়াও ছিলেন আলিপুরদুয়ার মহকুমা-সহ কৃষি অধিকর্তা রজত চট্টোপাধ্যায়, কালচিনি ব্লক-সহ কৃষি অধিকর্তা প্ৰবোধ মণ্ডল-সহ অন্যান্য আধিকারিক ও কর্মীরা। জঙ্গল ও চা বাগান ঘেরা এই কালচিনি ব্লক কৃষিপ্রবণ এলাকা বলে পরিচিত না হলেও প্রতিবছরের বাড়ছে এই কালো নুনিয়া ধানের চাষ। অন্যদিকে, কৃষকদের এই চাষে উৎসাহিত করতে কৃষি দফতরের তরফে দেওয়া হয়েছে চারাও।
advertisement
কৃষি দফতর সূত্রে খবর, গত বছর ব্লকজুড়ে ৫ হেক্টর জমিতে এই চাষ হলেও, এ’বছর ১০ হেক্টর জমিতে এই ধান চাষ করা হচ্ছে। লাগাতার তীব্র রোদে ইতিমধ্যেই ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা আমন ধান চাষে। তবে সেই ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে পারে এই কালো নুনিয়াই, এমনটাই দাবি কৃষকদের। জেলা পরিষদের সভাধিপতি স্নিগ্ধা শৈব জানান, “আমাদের জনজাতির মধ্যে নিয়ম রয়েছে মহিলারা সাংস্কৃতিক পোশাক পড়ে ধানের চারা রোপণ করেন। ধানকে আমরা দেবী লক্ষী মনে করি। তাই আগে তার পুজো করি ক্ষেতে।”
Annanya Dey