চাকরি হারানো ছয়জন শিক্ষকের মধ্যে তিনজনই ছিলেন উচ্চ মাধ্যমিকের রসায়ন, অঙ্ক এবং জীববিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন।উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বিজ্ঞান বিভাগের এই তিন শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়ায় এবার বিদ্যালয়ে এই বিজ্ঞান বিভাগ চালু থাকবে কী না সেটা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। জঙ্গল ও চা বাগান ঘেরা কালচিনি ব্লকের মত প্রত্যন্ত এলাকায় শুধুমাত্র হ্যামিল্টনগঞ্জ হাইস্কুল ও ইউনিয়ন অ্যাকাডেমি হাইস্কুল এই দুটি বিদ্যালয়েই কলা বিভাগের পাশাপাশি রয়েছে বিজ্ঞান বিভাগও। তবে এবার সুপ্রিমকোর্টের রায়ে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হারিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছে হ্যামিল্টনগঞ্জ হাইস্কুল। রায়ের পর স্কুলে আসেননি সেই শিক্ষকরা। কার্যত সকল শিক্ষকদের মনভার।
advertisement
বিদ্যালয়ের বর্তমান পড়ুয়াদের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার, আর ১০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা।তবে বিদ্যালয় তো চালাতে হবে সেই জেদেই চালিয়ে যাচ্ছেন পঠন পাঠন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক অভিষেক সরকার বলেন, “সহকর্মীদের চাকরি চলে যাওয়ায় আমরা সত্যি মর্মাহত। পূর্বে যেখানে খুব বেশি হলে পাঁচটা ক্লাস নিতে হত, সেখানে বর্তমানে নিতে হচ্ছে প্রায় ৯টা ক্লাস। এছাড়া উচ্চমাধমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক না থাকায় এখন সেই বিভাগের ভবিষ্যৎ নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়েছি আমরা।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, “ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ক্লাস নিয়ে চলেছি।কী করব বিদ্যালয় তো চালাতে হবে। এমনিতেই বিদ্যালয়ে শিক্ষকের অভাব ছিল,তার মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক চলে যাওয়ায় খুবই সমস্যায় পড়েছি আমরা। কতদিন এভাবে একপ্রকার জোড়াতালি দিয়ে পঠনপাঠন চালাতে পারব তা জানি না।”
Annanya Dey