হাতির মত অন্যান্য বন্যপ্রাণীর উপদ্রবে খুব কম মানুষই এই কালচিনি ব্লকে কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। কৃষি জমি থাকলেও বন্যপ্রাণীর ফসল ক্ষতি করার ভয়ে অনেক কৃষকই বর্তমানে কৃষিকাজ ছেড়েছেন।খুঁজেছেন বিকল্প আয়ের পথ। তেমনি সাতালি নাকাডালার বাসিন্দা রণজিৎ টুডু প্রায় এক দশক আগে বিকল্প আয়ের খোঁজে পাড়ি দিয়েছিলেন দক্ষিণ ভারতে। সেখানে এক রাবারের কারখানায় কাজ করতেন তিনি।
advertisement
রাবারের তৈরি টায়ার, টিউব সহ অন্যান্য সামগ্রী তৈরি করতেন। এরপরই সেখানে জানতে পারেন রাবার চাষের সম্পর্কে।তারপর যেই ভাবা সেই কাজ শুরু। এই চাষে হাতি তেমন ক্ষতি করতে পারবেনা আন্দাজ করেই, বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। ২০১৩ সালে পরে থাকা প্রায় ২০ বিঘার কাছাকাছি জমিতে লাগিয়ে ফেলেন প্রায় এক হাজার দুশোটি রাবার কাজ।যদিও তার মধ্যে প্রায় অর্ধেক গাছই ঝড়, বৃষ্টি সহ নানান কারণে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে দীর্ঘ অপেক্ষা ও পরিশ্রমের পর করোনা কালের পর থেকেই জমিতে রোপন করা গাছ গুলো থেকে রাবার মিলতে শুরু কড়েছেন। বর্তমানে রণজিতের জমিতে রয়েছে সাতশোটি রাবার গাছ।
এই বিষয়ে রণজিৎ টুডু জানান, “দুমাস অন্তর অন্তর অসম সহ শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি রাবার কারখানা থেকে লোক এসে এই রাবার নিয়ে যায়। ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি রাবার।ফলে অনেকটাই লাভজনক এই চাষ।” কৃষকদের এই চাষ সম্পর্কে অবগত করলে এলাকার অন্যান্য কৃষকও তাদের পরে থাকা জমিতে এই চাষ করে লাভবান হতে পারবেন বলে জানান তিনি।
Annanya Dey





