স্থানীয় কাউন্সিলর পার্থ প্রতিম মন্ডল বলেন, এলাকাটি কালজানি নদীর ওপারে কোচবিহারের দিকে হওয়ায় কিছু সমস্যা আছে। ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় কালজানি নদীতে জয়েস ব্রিজ অনুমোদন হয়েছে। ডিসেম্বর জানুয়ারিতেই কাজ শুরু হবে। কোচবিহার জেলার পঞ্চায়েত এলাকায় হওয়ায় রাস্তা নির্মাণ আমরা করতে পারি না। তবে আমরা ওই এলাকায় আগের থেকে অনেক বেশি উন্নয়ন করেছি।
advertisement
আরও পড়ুন: বর্ধমানে ডার্বির মহারণ, ট্রাইবেকারে দুরন্ত জয় মোহনবাগানের! জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়ে দিল প্রাক্তনরা
জানা গিয়েছে, গোটা আলিপুরদুয়ার শহর কালজানি নদীর পশ্চিমদিকে অবস্থিত। কিন্তু ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওই অংশ কালজানি নদীর পূর্ব পাশে অবস্থিত। কালজানি নদীর পূর্ব পাশে অবস্থিত হওয়ায় পুরসভার দ্বীপচর পুর এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন। সেই কারণে ওই এলাকা এখনও গ্রামীণ এলাকা হয়ে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা দীপালি দাস বলেন, আমাদের এলাকা দেখলে কেউ বলবে না যে এই এলাকা পুর এলাকা। এখানে রাস্তা মাটির। বর্ষায় এই রাস্তায় চলাচল করা যায় না। নদী পার হওয়ার কোন ব্রিজ নেই। ১৫ কিলোমিটার ঘুরে রেল ব্রিজ দিয়ে পারাপার করে শহরে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তায় পথ বাতি নেই। বার বার বলেও কোন সমস্যার সমাধান হয় না।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা গালো দাস বলেন, পঞ্চায়েত আর পুরসভার টানাটানিতে এই এলাকায় কোন উন্নয়নের কাজ হয় না। পঞ্চায়েত বলে আমাদের এলাকা নয়, আর পুরসভা বলে আমাদের এলাকা নয়। এই দুইয়ের মাঝে আমরা বঞ্চিত হই। পুরসভা এখন বলছে একটি ব্রিজ করবে। এখন দেখা যাক কবে সেই ব্রিজ হয়। অন্যদিকে এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান বাবলু কর বলেন, আমরা ওই এলাকায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের জন্য পাইপ বসাচ্ছি। জয়েস ব্রিজ করছি। পথবাতি ও রাস্তা, সবই করছি। কিন্তু এলাকাটি পঞ্চায়েত দিয়ে ঘিরে থাকায় সমস্যা হচ্ছে। কারণ পঞ্চায়েত এলাকার রাস্তা দিয়ে ওনাদের বের হতে হয়।“
