কালচিনি থানা ময়দানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান। সেখানেই নানা প্রদর্শনী নিয়ে হাজির হয়েছেন বড় থেকে ছোট সকলেই। তবে প্রদর্শনীর মধ্যেই জেলাশাসক সহ সকলের নজর কেড়েছে ষষ্ঠ শ্রেণীর পড়ুয়া আয়ুষ্মান বার্মা, সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া জায়েশ মাহেতা ও পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়া আরিয়ান প্রসাদ শার তৈরি বর্জ্যপদার্থের এই এটিএম মডেলটি। ব্যাঙ্কের এটিএম যেখানে ডেবিট কার্ড দিলে টাকা পাওয়া যায়, সেখানে এই এটিএমে প্লাস্টিক ফেলেলেই বেরিয়ে আসছে টাকা। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই পড়ুয়াদের এই ভাবনা আকর্ষিত করেছে সকলকেই।
advertisement
আলিপুরদুয়ারের ওইসব পড়ুয়াদের কথায়, বিকেলে ময়দানে এলে যেখানে সেখানে প্লাস্টিক পরে থাকতে দেখে তারা। এক, দু’বার তা পরিষ্কার করলেও পরের দিন একই অবস্থা হয়ে যায়। ফলে এরকম কিছু তৈরি করার ইচ্ছে ছিল যার ফলে মানুষের লাভ হবে এবং তারা প্লাস্টিকের মতো বর্জ্য পদার্থ পড়ে থাকতে দেখলে পরিষ্কারও করবে। সেই থেকেই এই এটিএম তৈরির ভাবনা তাঁদের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ বিষয়ে এক পড়ুয়া আয়ুষ্মান বার্মা জানায়, “আমাদের এই এটিএম তৈরিতেও প্লাস্টিক ব্যবহার করিনি। কার্টবোর্ডের সাহায্যে তিনদিনের মাথায় তৈরি করেছি এবং কালচিনি টিজি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঘনস্যাম খান্না আমাদের সাহায্য করেছেন।” এ বিষয়ে জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, “প্লাস্টিকের ব্যবহার রুখতে আমরাও নানা বার্তা দিয়ে চলেছি। এই আলিপুরদুয়ার জেলায় একাধিক পর্যটনস্থল রয়েছে, ফলে মানুষ সতর্ক হলে স্বাভাবিকভাবেই এর ব্যবহার অনেকাংশে বন্ধ হয়ে যাবে। এই মডেলটি বাস্তবায়িত করার চেষ্টা চালাব আমরা।”