রবিবার বিকেলবেলা এমন দৃশ্যই দেখা গেল কুমারগ্রাম ব্লকের কার্তিকা এলাকায় শামুকতলা-হাতিপোঁতা রাজ্য সড়কে। জানা যায়, এই সময় রাজ্য সড়কের ধারেj এলাকায় শঠি গাছ জন্মায়, আর সেই শঠির পাতা হাতির পছন্দ। তাই বেশ কিছুদিন যাবৎ শঠির টানে আনাগোনা বেড়েছে হাতির । জঙ্গল ছেড়ে সড়কের ধারে চলে আসছে হাতির পাল। বনবিভাগের কর্মীরা আগে থেকেই রাজ্য সড়কে টহলদারি চালাচ্ছিলেন। তাঁদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল হাতির দলটি রাস্তা পার হবে।
advertisement
সেই মতোই বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ একদল হাতি রাজ্য সড়কের পশ্চিম পাশের জঙ্গল থেকে বের হয়ে রাজ্য সড়ক পার হয়ে সড়কের পূর্ব পাশের জঙ্গলে ঢুকে যায়। হাতি দেখতে ওই এলাকার পথচলতি মানুষজন থেকে শুরু করে পর্যটকরা রাস্তায় ভিড় করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বনবিভাগের উত্তর রায়ডাক রেঞ্জের বনকর্মীরা। বনবিভাগ সূত্রে জানা যায় , ওই দলে ২৩টি হাতি ছিল। সড়ক পারাপার হতে হাতিগুলির যেন কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য রাজ্য সড়কের দুই পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর নির্বিঘ্নেই হাতিগুলি সড়ক পার করে জঙ্গলে ঢুকে পড়ে।
আরও পড়ুন : অতীতের স্মৃতি নিয়ে আজও খগেনবাবুর নিত্য দিনের সঙ্গী রেডিও
এই বিষয়ে পরিবেশপ্রেমী অসিত শিকদার বলেন, ‘ এই সময়ে হলুদ গাছের মতো দেখতে শঠি গাছ জন্মায় এই এলাকায়, বনাঞ্চল থেকে হাতিল পাল শঠি গাছ খেতেই আসে এই অঞ্চলে। হাতির পারাপারের ফলে রাস্তার দু’পাশে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। নির্বিঘ্নে হাতিগুলি রাস্তা পার হয়েছে।'
আরও পড়ুন : এ রহস্যের সমাধান হবে? চুঁচুঁড়ায় ৩০০ বছরের ওলন্দাজ গোরস্থানে গণ্ডগোল
বনবিভাগের উত্তর রায়ডাক রেঞ্জের বনকর্মী রাহুল মণ্ডল বলেন, ‘২৩টির মতো হাতি রাস্তা পার হয়ে জঙ্গলে চলে যায়। হাতিগুলির যাতায়াতে যেন কোনও অসুবিধা না হয়, সে জন্য আমরা সেখানে উপস্থিত ছিলাম। আগে থেকেই আমার রাস্তার নজরদারি চালাচ্ছিলাম। হাতিগুলি নির্বিঘ্নেই রাস্তা পার হয়ে জঙ্গলে ঢুকেছে।’
আরও পড়ুন : অতীতের তিরস্কারই আজকের পুরস্কার, শিস দিয়ে গান গেয়ে ভাইরাল ফুলিয়ার ব্যবসায়ী
পর্যটক স্মৃতিকণা কোলে বলেন, ‘আমি জলপাইগুড়ি থেকে এসেছি। একদল হাতি রাস্তা পার হল। এই প্রথম কাছ থেকে অনেকগুলো হাতি দেখলাম। খুবই ভাল লাগছে। আজকের দিনটা সেরা।’