মেচ ও রাভা সংস্কৃতির অন্যতম বাহক এই মাছ রাখার থলেটি। বর্ষাকালে আলিপুরদুয়ার জেলার তোর্ষা, কালজানি, বাসরা সহ বিভিন্ন ছোট বড় নদীতে দেখা যায় নদীয়ালি মাছের সমাহার। মেচ ও রাভা সমাজে বর্ষাকালে মাছ শিকার একটি উৎসবের মত পালিত হয়। বর্ষাকাল শুরু হলে মেচ ও রাভাদের পাড়ায় গেলে দেখা যাবে খলুই প্রস্তুতির কাজ। মেচ ও রাভা জনজাতির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলি হয় অত্যন্ত রঙীন।
advertisement
আরও পড়ুন: ৭০ বছরেও মিলল না রাস্তা, নর্দমা, রেলগেট! রেললাইন ডিঙিয়েই যাতায়াত ভরসা এই গ্রামের ৩০০ বাসিন্দাদের
বিলুপ্তপ্রায় হলেও বর্ষাকালের শেষের দিকে একটি অনুষ্ঠান হয়। যে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন আলিপুরদুয়ারের মেচ ও রাভা মহিলারা। মাছ শিকারের জন্য তাদের নাচ গান আছে, সেটা হল না-গুরনায়। সামনে মাছ রাখার পাত্র রেখে সেই ঐতিহ্যের নাচ হয়। মাছ রাখার পাত্র খলুই তৈরি হয় কচি বাঁশ দিয়ে। হাতের কাজে নিপুণ হলে একদিনে পাঁচটি খলুই প্রস্তুত সম্ভব হয়। অনেকটা বটুয়ার মতো হয় এই খলুই। ছোট মাছ এই খলুইয়ে ভরে নদী থেকে নিয়ে আসেন মেচ ও রাভা মহিলারা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই জনজাতিগুলির পুরুষদের তরফে জানা যায়, নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরে এই খলুইয়ে রাখা হয়। মাছ বেরিয়ে যেতে পারেনা এই পাত্র থেকে। বাজারে এই পাত্রটি বিক্রি হয় ৪০-৫০ টাকায়। এই খলুইয়ের ব্যবহার খুব কম হয় বর্তমানে। কিন্তু অনেকেই নিজেদের সংস্কৃতি বজায় রাখার জন্য তৈরি করেন খলুই। হাজরা পাড়ায় এখনও তৈরি হয় খলুই। মানিক হাজরা নামের এক শিল্পী জানান, “অনেকটা ধৈর্য ও পরিশ্রম রয়েছে এই কাজে। খলুই হতে হবে বটুয়ার মতো। একজন নিপুণ শিল্পীর পরিচয় খলুই তৈরির মধ্য দিয়েই মেলে।”