প্রায় ১১ বছর ধরে বনের গাইডের কাজ করেন আলোমতি। জানা গিয়েছে, তাঁর অনুপ্রেরণায় সম্প্রতি আরও এক মহিলা গাইড জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে যোগ দিচ্ছেন। গভীর জঙ্গলে জিপ সাফারি হোক বা হাতি সাফারি, এই পেশায় পুরুষ বন গাইডদের বেশি দেখা যায়। তবে আলোমতি যেন নারীদের প্রগতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ। পর্যটকদের কাছেও অত্যন্ত প্রিয় বন গাইড তিনি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ১০ দিনের ট্রেনিংয়ে খুলে গেল ভাগ্যের তালা, পাট থেকে হাতে আসবে মোটা টাকা! ঘরে বসে আয় করবেন মহিলারা
জলদাপাড়া জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে আলোমতির সংসার। বাড়িতে শ্বশুর-শাশুড়ি আছেন। দু’বছর আগে ক্যান্সারে পুত্র সন্তানকে হারিয়েছেন। এখনও ছেলের কথা মনে পড়লে চোখে জল চলে আসে। তবে কাজের কথা মনে পড়তেই নিজেকে গুছিয়ে নেন তিনি।
গাইড হিসেবে যোগ দেওয়ার আগের থেকে জলদাপাড়া জঙ্গলে বৃক্ষ রোপণ করতেন আলোমতি। বন দফতরের কর্মীদের নানা বিষয়ে সাহায্যও করতেন। এই দেখে তৎকালীন বন্যপ্রাণ সহায়ক বিমল দেবনাথ তাঁকে গাইডের এই পেশায় যুক্ত হতে বলেন। রাজি হয়ে যান আলোমতি। ট্রেনিং শেষে পেয়েছিলেন গাইডের সবুজ ইউনিফর্ম ও আই কার্ড, যা তাঁর পরিচিতি বদলে দিয়েছিল।
বর্তমানে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে হাতি ও জিপ সাফারির জন্য ৪২ জন সরকার অনুমোদিত গাইড রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন আলোমতি। চারটি শিফটে পর্যটকদের গাইড করেন তিনি। ভোর পাঁচটা থেকে শুরু হয়ে যায় তাঁর দিন। আলোমতি জানিয়েছেন, রোটেশন শিফটে কাজ করেন তিনি। কোনও কোনও দিন দু’টি ট্রিপও করেন। বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী এই গাইড। প্রতিদিন নিজেকে আপডেট করে চলেছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জঙ্গল, পর্যটক এবং সাফারি আলোমতি কার্জির মন ভাল করার কারণ। তিনি জানান, প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের বন্যপ্রাণী সম্পর্কে জানাতে তার ভাল লাগে। তিনি আরও জানান, যে কোনও কাজের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস জরুরি। গাইডের পেশায় আরও মহিলারা যোগদান করুক, চান তিনি।





