২০১০ সালের ২৪ জুলাই, হাসিমারা এয়ারবেস থেকে রুটিন মহড়ায় উড়ে যাওয়া একটি মিগ-২৭ হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারায়। মাঝ আকাশেই বিমানে আগুন ধরে যায়। পাইলট কোনও মতে বেরিয়ে প্রাণে বাঁচলেও, ক্ষতবিক্ষত হয় দক্ষিণ গুরুদেবপুর। ভয়ানক বিস্ফোরণে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন আরও ১৬ জন।
শুধু যাত্রীরা নন, এক বিমানের চাপে শেষ আরও ৩৩ প্রাণ! ভাঙা প্লেনের পিছন থেকেও যা পাওয়া গেল…!
advertisement
সাদা চাঁদের মতো, নাকি কালো? আপনার নখে রয়েছে এই দাগ? শরীরে কিসের ঘাটতি, জেনে নিন!
মাটির বাড়ি গুঁড়িয়ে গিয়েছিল, শিশুদের কান্না ভরা মুখ আজও অনেকের স্মৃতিতে টাটকা। চারপাশে শুধুই হাহাকার, আর কালো ধোঁয়ায় ঢাকা নীল আকাশ! সময় অনেক ক্ষত মুছে দেয়, হয়তো সেই গ্রামের বাসিন্দারাও ভুলতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার আমেদাবাদের দুর্ঘটনার ছবি যখন টিভির পর্দায় ফুটে উঠল, আবার ফিরে এল সেই পুরোনো রাত্রির ভয়। “রাতেই ঘুমাতে পারিনি। মনে হচ্ছিল আবার যেন সেই আওয়াজ, সেই বিস্ফোরণ শুনছি,” বললেন দুর্ঘটনায় আহত হওয়া স্থানীয় বাসিন্দা রতন বর্মন। কেউ কেউ জানালেন, টিভি বন্ধ করেও আতঙ্ক থামছে না। স্মৃতির ধুলো ঝেড়ে যেন ফের আতঙ্কে কেঁপে উঠেছে ময়নাগুড়ির দক্ষিণ গুরুদেবপুর। ১৫ বছর আগের ক্ষত এখনও পুরোপুরি শুকোয়নি, আর তার মাঝেই আবার এক ভয়াবহ স্মৃতি, ঘুম কেড়ে নিচ্ছে গোটা গ্রামবাসীর!
সুরজিৎ দে