পুজোর আগে বেহাল রাস্তা ঠিক করার পাশাপাশি ডিমা, কালজানি ও নোনাই নদীতে বিসর্জন ঘাটও সাজিয়ে তোলা হবে। এছাড়া শহরের ২০টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটিতে একটি করে নতুন হাই মাস্ট টাওয়ার বসবে। সেই সঙ্গেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে শহরে আরও ৭টি হাই মাস্ট টাওয়ার লাইট বসানো হবে। এই কাজে খরচ হবে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জেলায় বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, আক্রান্তের সংখ্যা সেঞ্চুরি পার! কোন এলাকায় সবচেয়ে বেশি?
আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান বাবলু কর এই খবর জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘পুজোর সময় জেলা ও জেলার বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ এই শহরে ঠাকুর দেখতে আসেন। সেই কারণে দর্শনার্থীদের কথা বিবেচনা করে পুজোর আগেই আমরা ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বেহাল রাস্তা মেরামত করব। এই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ২০টি ওয়ার্ডের প্রত্যেকটিতে একটি করে হাই মাস্ট টাওয়ার লাইট লাগানো হবে। এছাড়া বিসর্জন প্রক্রিয়া সুষ্টভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিসর্জন ঘাটের পরিকাঠামো তৈরি করা হবে ও ঘাটগুলো সাজিয়ে তোলা হবে’।
আলিপুরদুয়ার শহরে জেলার বেশিরভাগ বড় দুর্গাপুজো হয়। ছোট-বড় মিলিয়ে শহরে পুজোর সংখ্যা অন্তত ১০০। দুর্গাপুজোর চারদিন রোজ গড়ে অন্তত ৫০ লক্ষ মানুষের ভিড় হয়। পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে বিভিন্ন ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবকরা এই ভিড় সামাল দেন।
আরও পড়ুনঃ ডাক্তার-সিস্টারের দেখা নেই! হাসপাতালের ওয়ার্ড সামলাচ্ছেন আয়া মাসি! চিকিৎসা করাতে এসে বিপাকে রোগীরা
দুর্গাপুজোর সময় দর্শনার্থীদের যাতে ভাঙা রাস্তায় হোঁচট খেতে না হয় সেই কারণে আগেভাগেই বেহাল রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে আলিপুরদুয়ার পুরসভা। এছাড়া শহরে কার্নিভাল ও বিসর্জনের যাবতীয় দায়িত্ব পুরসভা নেয়। বিসর্জন ঘাটগুলিতেও মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। সেগুলিকেও সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুরসভার এই উদ্যোগে খুশি শহরের নাগরিকরা। পুরসভার নাগরিক ল্যারি বোস বলেন, ‘শহরের রাস্তাগুলি আগে ঠিক করা দরকার। হাই মাস্ট টাওয়ার লাইট হলে তো ভালোই হয়। যাই হোক পুজোর কথা মাথায় রেখে পুরসভা এই উদ্যোগ নেওয়ায় আমরা খুশি’।