শীত আসার আগেই আলু চাষ শুরু করেছিলেন বহু কৃষক। কিন্তু পাহাড়ে অসময়ের ভারী বৃষ্টির জেরে তিস্তার জলস্তর হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় চর এলাকার আলু খেত ডুবে যায়। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন চাষিরা। সেই ক্ষতি সামলাতে কেউ কেউ দেরিতে আলু চাষ শুরু করলেও, অনেকেই আলুর বদলে মটরশুঁটির চাষে ঝুঁকেছেন।
আরও পড়ুনঃ মালদহের বুকে এই প্রথম! জেলায় জমজমাট পিঠেপুলি উৎসব, শীতের মরশুমে জিভে জল আনা আয়োজন
advertisement
ক্ষতিগ্রস্ত দুই আলু চাষি জানান, এখন সকাল-রাতে কুয়াশা থাকছে, যা আলু চাষের পক্ষে অনুকূল। কিন্তু আগের ক্ষতির ধাক্কা কাটিয়ে আবার আলু চাষ করে লাভ হবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন তাঁরা। অন্যদিকে আরেক কৃষকের কথায়, “একবার ক্ষতির পর আর ঝুঁকি নিইনি। আলুর বদলে মটরশুঁটি চাষ করেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।”
চাষিদের মতে, মটরশুঁটি চাষে তুলনামূলকভাবে কম সারের প্রয়োজন হয়। তিস্তার চর এলাকার মাটিতে ফলনও ভাল হয়। এখানকার মটরশুঁটির স্বাদ ও দানার গুণগত মান উন্নত হওয়ায় পাইকারদের মাধ্যমে এই ফসল অসম ও কলকাতার বাজারে যাচ্ছে। এমনকি এখানকার মটরশুঁটির চাষের উপর নির্ভর করে বাজারের দাম। এতদিন বাজারে বেশ চাহিদা থাকলেও ফলন সেরম না হওয়ায় দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তবে এবার ছবিটা বদলাতে চলেছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জেলা উদ্যান পালন দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা অলোক কুমার মণ্ডল জানান, জেলায় মোট ২৭০০ হেক্টর জমিতে মটরশুঁটি চাষ হয় এবং উৎপাদন প্রায় ২২ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন। এই চাষের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তিস্তা নদীর চর এলাকা। এখন সবুজ মটরশুঁটির ফলনের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তিস্তার চরের কৃষকরা। এই ফসলই কি পারবে আলু চাষের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে দিতে, সেটা অবশ্য সময়ই বলবে।





