বুধবার শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন বিজেপি বিধায়ক। সঙ্গে ছিলেন পুরসভার ২ বিজেপি কাউন্সিলরও। সুপারের কাছে অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানান তিনি। অন্যদিকে, হাসপাতাল সুপার চন্দন ঘোষ বিধায়ককে জানান, ইতিমধ্যেই অ্যাডিনো নিয়ে চিকিৎসক এবং নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। অ্যাডিনো মোকাবিলায় তাঁরা প্রস্তুত।
advertisement
আরও পড়ুন: কালনাতেও থাবা বসাচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস, গড়ে ২০টি শিশু ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, ৪০ বেডের শিশু বিভাগের সমস্ত বেডই ভর্তি। তবে, যেহেতু উত্তরবঙ্গে অ্যাডিনোভাইরাস পরীক্ষা করার কোনো ব্যবস্থা নেই, তাই স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মেনেই চলছে চিকিৎসা পরিষেবা। তবে, সুপারের আশ্বাস, উদ্বেগজনক কোনও পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি।
তিনি এ-ও বলেন, "প্রতিদিন আউটডোরে গড়ে ৩০০ জন শিশু আসছে জ্বর, সর্দি, কাশির সমস্যা নিয়ে। আর এটা এই সময়ে প্রতিবারই হয়। অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ন্ত্রণে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আউটডোরে শিশুদের দেখার জন্যে বিশেষ কাউন্টার খোলা হয়েছে। ওই কাউন্টারে জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা নিয়ে আসা শিশুদেরই দেখছেন চিকিৎসকেরা।"
আরও পড়ুন: চেনা উপসর্গে ভর করে হানা দিচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস, বলছেন বর্ধমান মেডিক্যালের বিশেষজ্ঞেরা
এই মুহূর্তে মেডিক্যালের শিশুবিভাগে এআরআইয়ে আক্রান্ত ২৬ জন শিশু চিকিৎসাধীন। গত বুধবার নতুন করে ৩ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। মেডিক্যালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক জানান, প্রতি বছরই ঋতু পরিবর্তনের সময়ে ভাইরাসের সংক্রমণ হয়। এবারেও হয়েছে। কলকাতার দিকে অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে। উত্তরবঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও শিশুর শরীরে তেমন সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। তবে যে সংখ্যক শিশু ভর্তি হচ্ছে মেডিক্যালে কলেজে তা তেমন চিন্তার নয় বলেই জানাচ্ছেন চকিৎসকেরা। তবে অ্যাডিনোভাইরাস মোকাবিলায় প্রস্তুত মেডিক্যাল কলেজ। প্রয়োজনীয় বেড থেকে শুরু করে উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব নেই। ইতিমধ্যেই শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
পার্থপ্রতিম সরকার