আরও পড়ুন: সম্প্রীতি উড়ালপুলে স্পিড বার, গতিতে রাশ টানতে ব্যবস্থা প্রশাসনের
ইঞ্জিনিয়ারম্যান আহম্মেদ হোসেন জানান, গ্রাম এবং শহরে বিভিন্ন বাড়িতে বাঁশের বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করা হয়। এই জিনিসগুলি তৈরি করতে বাঁশ কাটতে হয় অনেকটা সময় ধরে। সময় লাগে অনেকটাই বেশি। এবং কিছু ক্ষেত্রে শ্রমিকও পাওয়া যায় না। তাই তিনি এই নতুন মেশিন তৈরি করেছেন। এই মেশিনের মধ্যে খুব সহজেই বাঁশ কেটে পাতলা ফালি তৈরি করা যাবে। যেখানে শ্রমিকের মাধ্যমে অনেকটা বেশি সময় স্বল্প কাজ করা সম্ভবত। সেখানে এই মেশিনের মাধ্যমে আরেকটা বেশি কাজ স্বল্প সময় করা যাবে।
advertisement
তিনি আরও জানান, এই মেশিনটি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে একটি ইলেকট্রিক মোটর, একটি চেন, একটি পুলি বেল্ট, আর কিছু ছোট ছোট যন্ত্রাংশ। মেশিনের বডি বানানো হয়েছে লোহার পাত দিয়ে। সব মিলিয়ে এই মেশিনটি তৈরি করতে খরচ পড়েছে চল্লিশ হাজারের মতন। তবে এই মেশিনটি বেশ অনেকটাই কার্যকর বলে জানাচ্ছেন তিনি। এই মেশিন তৈরি করার পরেই বেশ কিছু অর্ডার আসতে শুরু করেছে তাঁর কাছে। তবে এই মেশিনের মধ্যে আরও কিছু উন্নত করা সম্ভব কিনা সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তা শুরু করেছেন তিনি।
দিনের পর দিন যেভাবে দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা কমে আসছে বাজার থেকে। সেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে এই যন্ত্র অনেকটাই সহায়তা করবে বহু মানুষের। যে সমস্ত মানুষেরা বাঁশের বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে বিক্রি করেন। তাঁদের ক্ষেত্রে কাজ অনেকটাই সহজ করে দেবে এই যন্ত্র।
সার্থক পন্ডিত