পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ থানার ১২ নম্বর বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নলডাঙ্গি গ্রামের বাসিন্দা বাবুলাল বর্মনের ছেলে দিলীপ বর্মনের সঙ্গে পাশের গ্রামের গণেশ বর্মনের মেয়ে পার্বতী বর্মনের ৭ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর যেতে না যেতেই স্ত্রী পার্বতী বর্মনের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে, এমন অভিযোগ তুলে স্বামী দিলীপ বর্মন ও তার শ্বশুর শাশুড়ি পার্বতীর উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করতে শুরু করে। তাঁকে মারধরও করতে থাকে বলে অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর আর্জি খারিজ! কুণালের মানহানি মামলায় দিতে হবে সশরীরে হাজিরা
মঙ্গলবার তা চরম আকার ধারন করে। পার্বতী বর্মনকে বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি তার মুখে অ্যাসিড জাতীয় তেল ঢেলে দেওয়া হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তড়িঘড়ি তাকে রায়গঞ্জ গর্ভামেন্ট ও মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনায় পার্বতীর পরিবারের পক্ষ থেকে রায়গঞ্জ মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে রায়গঞ্জ মহিলা থানার পুলিশ তদন্তের জন্য পার্বতী বর্মনের শ্বশুরবাড়িতে যান।
আরও পড়ুন: মিমি, নুসরতদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের? নিরাপত্তা কমল মন্ত্রী শ্রীকান্তর
বাড়ি গিয়ে শ্বশুর বাবুলাল বর্মনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক স্বামী দিলীপ বর্মন। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পার্বতী বর্মনের ভাই জয়দেব বর্মনের অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর করত। দিদির সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার কথা বলে গতকাল দিদিকে অ্যাসিড জাতীয় তেল ঢেলে দিয়ে মারধোর করেছে বলে অভিযোগ করেন ভাই জয়দেব বর্মন। পাশাপাশি দোষীদের উপযুক্ত শান্তির দাবি জানিয়েছে ভাই জয়দেব। অন্যদিকে স্বামী দিলীপ বর্মনের কাকিমা ভারতি বর্মন জানিয়েছেন, গোটা ঘটনা ভিত্তিহীন, তারা মিথ্যা অভিযোগ করেছে। অপরদিকে ১২ নম্বর বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান আসিমুদ্দিন সরকার জানিয়েছেন, এরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। তেল লাগানোর পরে তার মুখ ও চুল উঠে যাচ্ছিল। পার্বতী বর্মনের মুখে অ্যাসিড ঢালা হয়নি বলে জানান তিনি।
----মুক্তা সরকার