জানা গিয়েছে, নিহত যুবকের নাম আকবর আলি (৩৫)। বাড়ি বিহারের আমদাবাদ থানার বাবলাবোনা গ্রামে। পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ওই যুবক রতুয়ার বিলাইমারি চাঁদপুর গ্রামে নিজের এক আত্মীয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ খেতে যান। এরপর রাতে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ফোন করেন। কিন্তু মোবাইল সুইচ অফ ছিল। পরিবারের লোকজনেরা আকবরের খোঁজ করতে বিলাইমারি গ্রামে যান। কিন্তু আত্মীয়ের মুখ থেকে জানতে পারেন আকবর রাত ৮ টা নাগাদ তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। অবশেষে রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ মহানন্দাটোলা নাককাট্টি ব্রীজ থেকে প্রায় একশো মিটার দূরে বাংলা-বিহার সংযোগকারী রাস্তার একটি কালভার্টের কাছে আকবরের ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের লোকজনেরা। সেই সঙ্গে লক্ষ্য করেন তার মোটর বাইক ও মোবাইল পড়ে রয়েছে কিছুটা দূরেই। এরপর খবর পেয়ে রাতেই রতুয়া থানার পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
advertisement
মৃতের সাবিনা বিবি জানান, রতুয়ার বিলাইমারি চাঁদপুরে গ্রামে আমাদের বাড়িতে অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ খেতে এসেছিল ভাসুরের ছেলে আকবর আলি। খাবার সময় প্রায় ৮টা নাগাদ কয়েকবার ফোন আসে। এরপর হঠাৎ করে বেরিয়ে যায় সে। রাত ১১ টা নাগাদ এক আত্মীয়ের ফোন আসে যে আকবর আলিকে কেউবা কারা খুন করে নাককাট্টি ব্রিজে ফেলে দিয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে দেখতে পায় ক্ষত-বিক্ষত আকবর আলির মৃতদেহ। ঘটনায় নিহত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে মোট পাঁচজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় রতুয়া থানায়। তার ভিত্তিতে বিহারের আহমেদাবাদ এলাকার কৌশিক মন্ডল নামের এক যুবককে পুলিশ আটক করেছে বলে খবর। খুনের কারণ সম্পর্কে পরিবারবর্গ কিছু জানাতে না পারলেও, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, রাস্তার কাজে বালি, পাথর সাপ্লাই নিয়ে গোলমালের জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। নিহত যুবক পেশায় ছিলেন বালি, পাথর সাপ্লাইকারী। তবে ব্যবসা সংক্রান্ত গন্ডগোল, নাকি অন্য কোনও কারণে এই খুন- তা জানতে তদন্ত শুরু রতুয়া থানার পুলিশ।