স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, রাতভর চলা মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যেই আচমকা গ্রামে ঢুকে পড়ে হাতির দল। এক কৃষক ভাঙা গলায় জানালেন, ‘আমার কলাবাগান, সুপারি বাগান সব শেষ করে দিয়েছে। এগুলির উপরই সংসার চলত। এখন পরিবার নিয়ে কীভাবে চলব বুঝতে পারছি না’।
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগে রাস্তা মেরামত, বসানো হবে…! পুরসভার উদ্যোগে ঝলমল করবে আলিপুরদুয়ার
advertisement
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বন দফতরকে খবর দেওয়া হলেও রাতের অন্ধকারে কেউ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়নি। ফলে ক্ষতির মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছে। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, বছরের পর বছর ধরে একই ঘটনা ঘটলেও স্থায়ী সমাধান নেই। তবে বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, যেসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁরা নিয়ম মেনে লিখিতভাবে জানালে ক্ষতিপূরণ পাবেন। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্তদের বক্তব্য, ক্ষতিপূরণ পেলেও ক্ষতির সঙ্গে তাঁর মিল থাকে না।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এলাকাজুড়ে এখন শুধু হাহাকার। কৃষকের চোখে জল, ঘরহারা পরিবারের দুঃখ- সব মিলিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে স্থানীয়দের। বর্ষাকালে এভাবে বারবার লোকালয়ে হাতির দল নেমে আসায় সাধারণ মানুষের রাতের ঘুম উড়ে যাচ্ছে। গ্রামবাসীরা বলছেন, ‘প্রাণে বেঁচে গিয়েছি, এটাই ভাগ্য। তবে প্রতিবার এমন হলে তো টিকেই থাকতে পারব না’।