ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে গঙ্গার তীরবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দাদের। গঙ্গা ভাঙনের কি কোন স্থায়ী সমাধান নেই? গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধে কি যৌথভাবে এগিয়ে আসবে না কেন্দ্র-রাজ্য সরকার। এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। যদিও ইতিমধ্যে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধ করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এমনটাই দাবি ফারাক্কা ব্যারেজ প্রোজেক্ট কর্তৃপক্ষের। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিহার ও ঝাড়খন্ড রাজ্যের প্রতিনিধিদের নিয়ে তৈরি হয়েছে বিশেষ কমিটি। গঙ্গার নিম্ন গতি পশ্চিমবঙ্গ বিহার ও ঝাড়খন্ড রাজ্যের উপর দিয়ে বইছে।
advertisement
ক্ষতিগ্রস্ত এই তিনটি রাজ্য। তবে পশ্চিমবঙ্গের অংশে সবচেয়ে বেশি বর্তমানে ভাঙন হচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, গঙ্গা ভাঙনের স্থায়ী সমাধান খোঁজার জন্য। ইতিমধ্যে এই কমিটির সদস্যরা একাধিক বৈঠক করেছেন নিজেদের মধ্যে। ভাঙন কবলিত এলাকায় বিশেষ সার্ভে করছেন। কিভাবে এই গঙ্গা ভাঙন ঠেকানো যায় তা নিয়ে দাফায় দাফাই বৈঠক করছেন সদস্যরা। এই পাঁচ সদস্যের দলে রয়েছেন ফারাক্কা ব্যারেজ প্রোজেক্টের জেনারেল ম্যানেজার-সহ তিন রাজ্যের প্রতিনিধি দল। ভাঙন প্রতিরোধ করতে, ও স্থায়ী সমাধান খুঁজে এই কমিটির সদস্যরা রিপোর্ট জমা দিবেন কেন্দ্র সরকারের কাছে। কমিটির সদস্যদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই আগামীতে গঙ্গা ভাঙন রোধ করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করবে কেন্দ্র সরকার। ফারাক্কা ব্যারেজ প্রোজেক্টের জেনারেল ম্যানেজার আর ডি দেশ পান্ডে বলেন, ‘ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভাঙন কীভাবে রোধ করা যায় সেই নিয়ে রিপোর্ট পেশ করা হবে। রিপোর্টের মোতাবিক কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে ভাঙন রোধের কাজ করার পরিকল্পনা হবে।’
আগামী দুই এক বছরের মধ্যেই গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধের কাজ পরিকল্পনা মাফিক শুরু করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করলেই ভাঙন অনেকটাই ঠেকানো যাবে বলে মনে করছেন ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা। মূলত বর্ষার মরশুমে বেশি পরিমাণে ভাঙন হয়। এই সময় গঙ্গা নদীর জলস্তর ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেতে থাকায় ভাঙন বাড়ে। তাই সাধারণ মানুষ চাইছেন দ্রুত গঙ্গা ভাঙন ঢুকতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে এগিয়ে আসুক।
হরষিত সিংহ