আলিপুরদুয়ারের দু’নম্বর ব্লকের শামুকতলা রোড তথা দক্ষিণ মাজিদখানা এলাকার এক সরকারি চাকুরিজীবি পাত্র বিয়ে করতে গিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ার দু’নম্বর ব্লকের যশোডাঙ্গা বিশ্বাসপাড়া এলাকার পাত্রীকে। বিয়ের সাত পাক ঘোরার পরেও নববধূকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হল না বরের। রীতিমতো বরকে বাড়িতে বসিয়ে রেখে উধাও হয়ে যায় নববধূ। আর এই ঘটনা প্রকাশ হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে কনের বাড়ি-সহ গোটা গ্রাম, এমনকি থানা এলাকায়। দুই পরিবারের আলোচনার ভিত্তিতেই পাত্রের বাবা তার ছেলের বিয়ে ঠিক করেন যশোডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা ওই পাত্রীর সঙ্গে।
advertisement
বৃহস্পতিবার রাতে সাতপাকে আবদ্ধ হন পাত্র এবং পাত্রী। শুক্রবার ছিল কনে বিদায়ের দিন। বাসি বিয়ে উপলক্ষে বেলা আড়াই’টে নাগাদ কনে বাড়ি থেকে বিউটি পার্লারে যান ভাইকে নিয়ে সাজগোজ করতে। আর সেখান থেকেই রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় নববধূ। শুক্রবার সন্ধ্যায় পাত্র ফিরে আসে বাড়িতে। রীতিমতো দুই পক্ষের অভিভাবক এবং পঞ্চায়েত-সহ বিশিষ্টজনদের নিয়ে যশোডাঙ্গা হাই স্কুল সংলগ্ন এলাকায় আলোচনা সভা হয়। আলোচনা সভার পরেই নববধূর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করতে শামুকতলা থানায় যাওয়া হয় অধিক রাতে।
এদিকে শুক্রবার রাতে দক্ষিণ মাজিদ খানা এলাকায় বরের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল প্যান্ডেল তৈরি হয়ে আছে। রবিবার ভুরিভোজ হওয়ার কথা ছিল, পাঁচশ নিমন্ত্রিতের। তাছাড়া রয়েছেন আত্মীয়-স্বজন আরও অনেকেই। প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে ছেলের বিয়ের জন্য, এমনটাই জানিয়েছেন বরের বাবা। রাত বারোটা পর্যন্ত নিখোঁজ বধূর সন্ধান পাওয়া যায়নি। রহস্যজনক ভাবে নববধূ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়ে পাত্রপক্ষ। উল্লেখ্য পাত্র খাদ্য দফতরের একজন সরকারি কর্মচারী। নববধূকে বাড়িতে নিয়ে যেতে না পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন পাত্র। তবে পাত্রের বাবা জানিয়েছেন, আজ তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করবেন কনের বাড়ির বিরুদ্ধে।
Annanya Dey