হাসপাতাল সুপার সঞ্জয় মল্লিকের দাবি, মৃতদের মধ্যে দু'জনের কম ওজন ও সেপটিসেমিয়ায় আক্রান্ত ছিল। আর ৩৪ দিনের শিশুটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল। সময় পাওয়া যায়নি। তবুও চিকিৎসকেরা চেষ্টা চালিয়েছিলেন। যদি মৃত ৩৪ দিনের শিশুর কাকা বাসুদেব সরকারের দাবি, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি করানো হয়েছিল।মঙ্গলবার সকালের দিকেও দিব্যি খেলছিল। তারপর একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তারপরই অবস্থার অবনতি ঘটে এবং দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ মৃত্যু হয়। তবে এনিয়ে গাফিলতির অভিযোগ সরাসরি করেননি তারা। কিন্তু শিশুটির মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই পরিবারের মধ্যে।
advertisement
আরও পড়ুন - IPL 2021 Points Table: একই দিনে KKR ও MI -র জয়, বদলে গেল পয়েন্ট টেবলের ছক
এই নিয়ে গত ৮ দিনে এক বালক সহ ১০ জন শিশুর মৃত্যু হল মেডিকেলে। যা ভাবাচ্ছে। যদিও মেডিকেল সুপারের দাবী, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়েনি। সেপটসেমিয়া, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদেরই বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জন ভর্তি হয়েছে শিশু বিভাগে,এর মধ্যে ১৬ জন জ্বর সর্দি নিয়ে ভর্তি। বর্তমানে মোট ৬৯ জন শিশু ভর্তি। অর্থাৎ চাপ ক্রমেই বাড়ছে।
আরও পড়ুন - Indian Cricket Team-র কোচ কি ফের বিদেশি! Anil Kumble ছিটকে গেলেন রেস থেকে
প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে শিশু ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে মেডিকেলে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে রেফার রোগীর সংখ্যাই বাড়ছে। সুপার জানান, আগের চাইতে অন্য জেলা এবং গ্রামীন হাসপাতাল থেকে রেফার শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তাই জ্বর, সর্দি, কাশির উপসর্গ থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরী বলে জানান সুপার। সামনেই পুজো। তার আগে আরো সচেতন হতে হবে অবিভাবকদের। প্রসঙ্গত প্রতি বছর এই সময়ে ভাইরাল ফিভারে শিশুদের আক্রান্তের ঘটনা ঘটলেও এবারে সংখ্যাটা ঊর্ধ্বমুখী৷
Partha Sarkar