প্রবীণ ভোটার কুমুদিনী বর্মন জানান, জেলার মধ্যে তিনি সবচেয়ে প্রবীণ এই বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না। তবে বিষয়টি জানার পর অনেকটাই খুশি তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে গণতন্ত্রের উৎসব, ভোটের মধ্যে শামিল হতে বেশ ভাল লাগে তাঁর। বিগত বছরগুলিতেও তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দান প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি বুথের মধ্যে গিয়েই ভোট দান করেছেন। চলতি বছরেও বুথ কেন্দ্রে গিয়ে ভোটদানের ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। তবে এবার তাঁর জন্য কোনও আলাদা ব্যবস্থা আছে কিনা সেই বিষয়টি তাঁর জানা নেই।”
advertisement
আরও পড়ুন : আজ এই রঙের কাপড় ও অন্য জিনিস দান করুন! বাঁচুন পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের কুপ্রভাব থেকে
এলাকার স্থানীয় পঞ্চায়েত সুবোধ বর্মন জানান, “গোটা জেলার মধ্যে তাঁর বুথকেন্দ্রে থাকা এই ভোটার জেলার সবচেয়ে পুরনো ভোটার। এই বিষয়টি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত আনন্দের। এত বয়সে এসেও যে তিনি যেভাবে হেঁটে চলে ঘুরে বেড়াতে পারেন এটাই আশ্চর্যের। বিগত বছর গুলিতে তাঁরা গাড়ির ব্যবস্থা করেছিলেন এই ভোটারকে বুথকেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য। চলতি বছরেও নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন ঠিক এমনটাই ইচ্ছে রয়েছে তাঁদের। তবে যদি তিনি যেতে চান তাহলেই। না হলে বাড়ির মধ্যেই তাঁর ভোট দানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।”
বৃদ্ধা মহিলার পুত্রবধূ নিভা বর্মন জানান, তাঁর শাশুড়ি-মার বয়স যে জেলার মধ্যে সবচাইতে বেশি এই বিষয়টা তাঁর জানা ছিল না। তবে বিষয়টি জানার পর থেকেই তাঁদের মধ্যে এক আলাদা আনন্দ কাজ করছে। তাই ভোটের দিন শাশুড়ি-মার সঙ্গে ভোট দিতে তিনিও যাবেন ভোটকেন্দ্রে।