তবে এবছর বারাসতের সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ২৮ বার ঘণ্টা বাজিয়ে যাত্রা উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন। প্রযুক্তির যুগে অনেকটাই পেছনের সারিতে চলে গিয়েছিল এই শিল্প। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের রুটি-রুজির টান পড়তে শুরু করেছিল। পরবর্তীতে বাম জমানার অবসান ও তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই যাত্রা শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য যাত্রা উৎসবের নতুন করে সূচনা করেছিলেন বারাসাতের কাছারি ময়দান থেকেই। তারপর থেকেই বারাসাতের কাছারি ময়দানেই হয়ে আসছে বাংলার এই যাত্রা উৎসব।
advertisement
এদিন এ বছরের যাত্রা উৎসবের সূচনা হল রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী সাংসদদের উপস্থিতিতে। উপস্থিত ছিলেন জেলার জেলাশাসক শরৎকুমার দ্বিবেদী, সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরাও। ছিলেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, বারাসাতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। ২৮ বার ঘন্টা বাজিয়ে এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে করা হয় এই উৎসবের সূচনা। এদিন এই উৎসবের সূচনা হলেও রাজ্যের নানা প্রান্তে বেশ কিছুদিন ধরেই চলবে এই যাত্রা উৎসব। বিভিন্ন মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে নানা যাত্রা পালা। যাত্রা শিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে সরকারের তরফ থেকে যাত্রা শিল্পীদের হাতে ভাতা তুলে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রীরা। পাশাপাশি গ্রাম ছাড়িয়ে এখন শহর ও শহরতলীতেও যাত্রা পৌঁছে গিয়েছে, বহু মানুষ এখন এই যাত্রা দেখেন বলেও জানান মঞ্চে উপস্থিত থাকা মন্ত্রী সংসদ থেকে যাত্রা শিল্পীরা।
এদিনের যাত্রা উৎসব ঘিরে যাত্রা শিল্পী সহ দর্শক ও সাধারণ মানুষের মধ্যেও এক আলাদা উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে।এদিন এই উৎসবে সূচনার আগে বাউল শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন মাটির গান নিয়ে একেবারে মঞ্চের সামনে। আগামী কিছুদিন বেশ কিছু ভালো ভালো যাত্রাপালা দেখতে পারবে সাধারণ মানুষ।একসময় যাত্রাপালা হত মাঝেমধ্যেই যা বর্তমানে একদমই দেখা যায় না,সেই শিল্প ক্রমশ হারাতে বসেছে, সেই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একান্ত প্রচেষ্টায় এই উদ্যোগ। এই যাত্রা উৎসবের মধ্য দিয়ে যাত্রা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াস রাজ্য সরকারের।