বৃহস্পতিবার টাকিতে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানকার কাজ মিটিয়ে তিনি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন। হঠাৎই হাসনাবাদ ব্লকের আমলানি পঞ্চায়েতের হরিপুর একাকায় কনভয় থামাতে বলেন তিনি। গাড়ি থেকে নেমে সোজা চলে যান গ্রামে। এ কোনও পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল না। তাই হঠাৎ মন্ত্রীকে গ্রামে দেখে অবাক হয়ে যান সকলে।
আরও পড়ুন: বিবেকানন্দর জন্মদিনে পুরুলিয়ায় বিজেপির ব়্যালি
advertisement
তবে গ্রামবাসীদের আড়ষ্টতা ভাঙতে চন্দ্রিমাই প্রথম এগিয়ে আসেন। তিনি নিজে থেকে হরিপুরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের সুবিধা অসুবিধার কথা শোনেন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের সামাজিক ১৫ টা প্রকল্পের সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন কিনা সেটাও জানতে চান। মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে আপ্লুত এলাকার মানুষ। অনেকেই এই সুযোগকে হাতছাড়া করতে চাননি। কেউ কেউ আবাস যোজনার ঘর নিয়ে সমস্যার কথা তুলে ধরেন, আবার কেউ কেউ বিধবা ভাতা না পাওয়ার কথা জানান মন্ত্রীকে।
উল্লেখ্য, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজ্য তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রীও। বৃহস্পতিবার টাকি সাংস্কৃতিক মঞ্চে তিনি একটি কর্মীসভা করেন। সেই সভা মঞ্চে রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্পের সচেতনতামূলক নৃত্য প্রদর্শনী হয়। তৃণমূলের মহিলা কর্মীদের জানান, ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁরাই মূল চালিকাশক্তি হবেন। বলেন, আগামী দিনে এখানে হাজির মহিলাদের অনেকেই রাজ্যকে নেতৃত্ব দেবেন।