তিরিশ থেকে চল্লিশ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে গোলাপ চারা। টব সমেত নিলে আরেকটু বেশি দাম পড়ছে। গোলাপের পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে জিনিয়া, পিটুনিয়া, চন্দমল্লিকা, গাঁদা, ডালিয়া, কসমস, অস্টর, গাদা সহ প্রভৃতি ফুল। নিউটাউন লাগোয়া রাজারহাটের শিখরপুর, বাগু, নয়াবাদ, আড়বেলিয়া, ঝালিগাছি, কাশীনাথপুর, বাজেতরফ এই সাতটি গ্রামকে একত্রে বলা হয় সপ্তগ্রাম। সেই সপ্তগ্রাম আজ রাজ্যের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ নার্সারী হাব বলে পরিচিত। এখানকার নার্সারী মালিকদের দাবি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার মুচিসা বাজার একসময় নার্সারীর জন্য প্রসিদ্ধ থাকলেও, গত দু দশক ধরে সেই তকমা ছিনিয়ে নিজেদের মুকুট করেছে রাজারহাটের সপ্তগ্রাম। এখানাকার গোলাপ, রজনীগন্ধা, মেক্সিক্যান গ্রাস ভারত ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে।
advertisement
ভোজেরহাট রোডের ওপর প্রায় পনের বিঘা জমিতে একের পর এক নার্সারি। গত কয়েকদিন ধরে পাইকারি ক্রেতাদের পাশাপাশি দেখা মিলছে বহু নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরাও ভিড় জমাচ্ছেন গোলাপের চারা কেনার জন্য। ওই এলাকার এক নার্সারি ব্যবসায়ী বিপিন মুখার্জি জানালেন, সারাবছর গাছের চাহিদা থাকলেও, প্রেম দিবসের দিনে বারে গোলাপের চাহিদা। তবে এ বছর গোলাপ ফুলের পাশাপাশি যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে টব সমেত গোটা গোলাপের চারা গাছের। মধ্যমগ্রামের এক প্রেমিক যুগলকে দেখা গেল এদিন চারা গাছ কিনতে।
তারা জানালেন, শুধু গোলাপ ফুল দিলে কিছুদিন থাকার পরই নষ্ট হয়ে যাবে সুন্দর ফুলটি। তবে গাছ সমেত থাকলে একটি নয়, এরকম অনেক ফুলই মিলবে। আর সেই কারণেই গোটা গোলাপ গাছ কেনা। তবে ভালোবাসার দিনে টব সমেত গোলাপ গাছ দেওয়ার বিষয়টিকে অবশ্য পজেটিভ ভাবেই দেখতে চাইছেন পরিবেশপ্রেমীরা। নতুন প্রজন্মের হাত ধরে যদি এভাবেই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হয়, তবে এটাও তো এক ধরনের পরিবেশকে ভালোবাসারই অঙ্গীকার।