জানা যায়, সেদিন রাত সাড়ে বারোটাতেও অভিজিতের সঙ্গে ছিলেন তাঁর বন্ধু সন্তু। কিন্তু মৃত্যুর পর থেকেই আচমকা সন্তু উধাও হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন মৃত অভিজিতের বাবা বিশ্বজিৎ দাস। এদিন ছেলের মৃতদেহ বারাসত হাসপাতালের মর্গ থেকে নিতে এসে বললেন, ‘‘ওদিন রাত একটার কিছু সময় আগে এই দুর্ঘটনা ঘটে।’’
প্রসঙ্গত স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেই রাতে অভিজিৎ খাবার ডেলিভারি করতে যাচ্ছিলেন। মধ্যমগ্রাম ওভারব্রিজে একটি মোটর সাইকেলে তিনজন মদ্যপ অবস্থায় তাঁর মোটর সাইকেলে ধাক্কা মারে। অভিজিৎ ছিটকে পড়েন রাস্তার উপর। সেই সময় একটি লরি তাঁকে চাপা দেয় বলেই জানা গিয়েছে। তড়িঘড়ি তাঁকে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। দুর্ঘটনার কিছু আগে পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে সন্তু বলে এক বন্ধু ছিলেন।
advertisement
হাসপাতালে নিয়ে আসা পর্যন্ত এবং বাড়িতে খবর দেওয়া পর্যন্ত সন্তুর অবস্থান ঠিকঠাক ছিল, এমনকি বারাসত হাসপাতালে সন্তু তাঁর বাইকে করে অভিজিতের বাবাকেও নিয়ে আসেন। তার পর থেকেই সে পলাতক বলে নিহত অভিজিতের পরিবারের দাবি। তাঁর বাড়িতেও রয়েছে তালা। বিশ্বজিৎ বাবুর অভিযোগ, ছেলের মৃত্যুর পিছনে সন্তু র হাত থাকতে পারে।
অন্যদিকে তিন মদ্যপ যুবকের একজন এই দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বর্তমানে বারাসাত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি দুজনকে পুলিশ আটক করেছে। মৃত যুবক অভিজিৎ দাসের বাড়ি হৃদয়পুর সারদা সরণিতে। গত এক সপ্তাহ আগেই পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ডেলিভারি বয়ের কাজে ঢোকেন তিনি। এই কাজই যে তার প্রাণ কেড়ে নেবে, তা কেউই ভাবতে পারেননি। তবে
গোটা ঘটনায় রহস্যের অনুমান করছে মৃতর পরিবার। পুলিশি তদন্তেই এই রহস্যের সমাধান হবে বলেই ধারণা দাস পরিবার-সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের।