সূর্যঘড়ি এমন একটি কৌশল যা সূর্যের অবস্থান নির্ণয়ের মাধ্যমে সূর্যালোক কে কাজে লাগিয়ে সময় নির্ধারণ করা হয়। বিগত দিনে সময় জানতে তেমন ভাবে ব্যবহার ছিল না ঘড়ির। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি সূর্য ঘড়ি রয়েছে গোবরডাঙ্গার জমিদার বাড়ির পাশেও। অন্য জায়গার সূর্যঘড়ির থেকে গোবরডাঙা সূর্যঘড়ি আকারে এবং আয়তনে বেশ অনেকটাই বড়। জানা যায়, ১৮৬৮ সালে জমিদার সারদা প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় তৈরি করেছিলেন এই সূর্যঘড়ি। উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষের যাতে সময় দেখতে অসুবিধে না হয়। এইজন্য জমিদার বাবু তৎকালীন শিক্ষা সচিব ও বিশিষ্ট গণিত বিশারদ হলিডে সাহেবের শরণাপন্ন হন। জমিদার সারদা প্রসন্নের অনুরোধে জমিদার বাড়ির পাশেই তৈরি করেছিলেন এই সূর্যঘড়ি।
advertisement
আজ রাস্তার ধারে অবহেলায় পড়ে রয়েছে এই ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্ন। পৌরসভার তরফ থেকে কয়েক বছর আগে রং করা হলেও এই সূর্যঘড়ি সংরক্ষণের জন্য কোনো বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রাচীন শহর গোবরডাঙ্গার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই সূর্যঘড়ির, যা আজ কালের নিয়মে অচল। তবে আজও এই ঘড়ি ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে।