স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্র চত্বরে বছর তিনেক আগে বসানো হয়েছিল আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জলের কল। অভিযোগ বছর ঘুরতেই তা খারাপ হয়ে যায়। তারপর স্থানীয় প্রশাসন সহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, সকলকে বিষয়টি জানানোর পর একবার ওই কলটি সারানো হয়। কিন্তু কিছুদিন পর ফের সেটি খারাপ হয়ে যায়। সেই থেকে বন্ধ অবস্থাতেই পড়ে আছে পরিশুদ্ধ পানীয় জলের একমাত্র কলটি। আর তারই সুযোগ নিয়ে জল বিক্রি চক্রের রমরমা শুরু হয়েছে আমডাঙা ব্লক হাসপাতাল চত্বরে।
advertisement
আরও পড়ুন: লালকেল্লা এখন গোবরডাঙায়! সরস্বতী পুজোয় জেলার চমক
রোগীর আত্মীয় পরিজনদের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে তাঁদেরকে চড়া দামে জল বিক্রি করছেন হাসপাতালের আশপাশের ব্যবসায়ীরা। এই অবস্থায় জল কিনে খাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকছে না চিকিৎসা করাতে আসা মানুষজনের। শুধু তাই নয়, অভিযোগ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোনও ছাউনি দেওয়া বসার জায়গা নেই বলেও অভিযোগ উঠেছে। ফলে রোদ ঝড় জলে সমস্যায় পরতে হয় রোগীর পরিজনদের। দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে সর্বত্র। শুক্রবার আমডাঙা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক রফিকুর রহমান সহ পঞ্চায়েত ও ব্লকের জনপ্রতিনিধিরা। আর ঠিক তখনই হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয় ও হাসপাতাল কতৃপক্ষ দিদির দূতের কাছে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে অভিযোগ করেন। নির্মল ঘোষ পরিষেবার এই সমস্যা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের দিকে আঙুল তোলেন। এদিকে হাসপাতাল কতৃপক্ষের দাবি, সবকিছু বিডিওকে বহুবার জানানো হয়েছে। ব্লক থেকেই করা হয়েছে জলের কল। এর দেখভালের দায়িত্ব ব্লক প্রশাসনের। পাশাপাশি হাসপাতাল চত্বরে পরিবেশ নিয়েও অভিযোগ আছে। এই অবস্থায় ব্লক প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের টানাপোড়েনের মাঝে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন রোগীরা।
রুদ্রনারায়ণ রায়