আমডাঙ্গা বিধানসভার বেড়াবেড়িয়া পঞ্চায়েতের বোর্তির বিলে বছরের অন্যান্য সময়, পাট, পিঁয়াজ সহ নানা ফসল চাষ হয়। বর্ষা পরবর্তী সময়ে এই গোটা চাষের খেতেই কোমর সমান জল হয়ে যায়। তখনই বারে পর্যটকদের আনাগোনা। চাষাবাদ ছেড়ে স্থানীয়রা তখন পর্যটকদের নৌকা বিহারের মধ্য দিয়েই আর্থিক উপার্জন করেন। যতদূর চোখ যাবে, দেখা যাবে বিশাল জলরাশি। সঙ্গে প্রকৃতি মেঘ রোদ্দুরের খেলা। মাঝখান দিয়ে চলে গিয়েছে সরু লাল ইটের রাস্তা। তবে ভারী বৃষ্টির সময় জল জমে যায়, রাস্তাতেও। বর্তমানে পর্যটকদের ভিড় সামাল দিতে, বিকেলের পর ছুটির দিনগুলিতে রীতিমতো পুলিশ পাহারা বসাতে হয় এলাকায়। বিকেলে বোর্তির বিলের মনোরম পরিবেশ ক্যামেরাবন্দি করতে প্রতিদিনই প্রায় কয়েকশো মানুষের ভিড় জমে এই স্থানে। পর্যটকরা এখানে নৌকা বিহারও করতে পারেন, জনপ্রতি প্রায় ১০০ টাকা করে পড়বে মিনিট ১৫-২০ বিলের নানা প্রান্তে নৌকায় ঘোরার জন্য।
advertisement
আরও পড়ুন: দীর্ঘ ৩ বছর বন্ধ বাউড়িয়া স্টেশনের টিকিট কাউন্টার, সমস্যায় যাত্রীরা
এখানকার অধিকাংশ মানুষই কৃষি নির্ভর। লাল ইটের রাস্তা দিয়ে কিছুটা গেলেই দেখা যাবে দু'ধারে সারিবদ্ধ ভাবে সাজানো রয়েছে পাট কাঠি। দেখে মনে হবে, যেন পর্যটকদের স্বাগত জানাচ্ছে তারা। নৌকায় ঘোরার পাশাপাশি দেখতে পাবেন, পুরো জলাশয় জুড়ে রয়েছে শাপলা ফুল। পুজোর আগে এ দৃশ্য মন ছুয়ে যাবে যে কারোর। আর এই আকর্ষনেই বারংবার জেলার নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের পাশাপাশি পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে এই বোর্তির বিলে। ভাবছেন কিভাবে আসবেন? কলকাতা থেকে বাস অথবা ট্রেনে বারাসত, সেখান থেকে ব্যারাকপুর রোড ধরে নীলগঞ্জ মোড়। সেই মোড় থেকে ডান দিকে প্রায় এক কিলোমিটার মত গেলে বেড়াবেড়িয়া। কিছুটা পিচ রাস্তা, তারপর ঢালাই রাস্তা, আর সব শেষে ইটের লাল রাস্তা। রাস্তার দু-ধারে রয়েছে প্রচুর বাঁশবাগান, কিছুটা এগোলেই বোর্তির বিল। গোধূলি বিকেল কিম্বা সূর্যাস্তের দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি বা চাক্ষুষ করতে চাইলে আসতেই হবে এই বিলে। বর্ষা পরবর্তী এই দু-তিন মাসে থাকবে বিলের জল। তাই পুজোর আগে আর দেরি না, কিছু সময় হাতে নিয়ে ঘুরে আসতেই পারেন নতুন এই ভ্রমণ স্থলে। নিরিবিলি প্রিয়জনের সাথে কিছুটা সময়ও কাটাতে পারবেন এখানে।
রুদ্র নারায়ণ রায়