বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর, মথুরাপুর এলাকায় চাষ হলেও তা পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে, থার্মোকল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে, ফলে শোলার সাজ শিল্প আজ করুণ পরিস্থিতির মধ্যে। শিল্পীদের হাতে, ঠাকুরের গয়না তৈরির কাজ প্রায় বন্ধের মুখে ৷ গয়নার চাহিদা থাকলেও, শোলা আমদানি না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন শিল্পীরা।অশোকনগর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের শোলা শিল্পীরা নিজেদের করুণ অবস্থার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, গত দু'বছর করোনাকালে পুজো ঠিকভাবে হয়নি৷ এবার বৃষ্টির অভাবে কাঁচামালও আমদানি হয়নি। সামনে পুজো, সব পুজোতেই এই শোলার গয়নার চাহিদা থাকে ৷
advertisement
আরও পড়ুন: পিংলার নয়া গ্রামের পটচিত্র এবার UNESCO-র নজরে! গ্রামে ঘুরলেন পরিদর্শক দল!
চাহিদা অনুযায়ী, তিন কদম ফুল, চাঁদমালা সহ বিয়ের টোপরও তৈরি করে থাকে শিল্পীরা৷ এলাকার প্রায় ২০০ পরিবার এই কাজের উপর নির্ভরশীল৷ বিগত দিনে শোলার বিকল্প হিসেবে থার্মোকল দিয়ে কাজ করতেন এই শিল্পীরা৷ কিন্তু সরকারের বিধি-নিষেধ থাকায়, থার্মোকল ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। সামনেই পুজো, এই অবস্থায় শিল্পীরা কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।তাই সরকারের কাছে তাদের আবেদন শোলার বিকল্প হিসাবে যেন থার্মোকল ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। না হলে প্রচুর পরিবার না খেতে পেয়ে পথে বসবে। কাঁচামালের যোগান অনুযায়ী এখন দেবীর সাজ সরঞ্জাম সহ চাঁদ মালা তৈরিতে ব্যস্ত শোলা শিল্পীরা।
রুদ্র নারায়ণ রায়