গ্রামীণ এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা আরবান এলাকার তুলনায় অনেকটাই কম। গ্রামীণ এলাকার মধ্যে হাবরা দু নম্বর ব্লক সবার উপরে। তারপরেই আছে আমডাঙ্গা। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। দিন দিন যে হারে সংখ্যা বাড়ছে তা সত্যিই চিন্তার বিষয়। তবে, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মনে করে গ্রামীণ এলাকা এখনো হাতের বাইরে চলে যায়নি। কিন্তু গ্রামীণ এলাকার যে স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলি আছে তাতে শয্যা সংখ্যা অনেকটাই কম, সেক্ষেত্রে এরপরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে আর বেডে রোগী রাখা যাবে না।
advertisement
সেক্ষেত্রে মেঝেতে রেখেই চিকিৎসা করতে হবে। কয়েকদিন আগেই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিজে দেগঙ্গায় গিয়ে দেখেছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বেড ভর্তি। রোগীদের বাড়ি ছাড়াও যাচ্ছেনা, কারণ এবারে আক্রান্ত রোগী শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকেই বেশি। সেইসব রোগী কে নুন্যতম সাতদিন রাখতে হচ্ছে হাসপাতালে। ফলে একটা চাপ তৈরি হচ্ছে ক্রমবর্ধমান তা বলাই যায়। তবে ভালো দিক, এখনো পর্যন্ত মৃত্যুর সংখা নেই দু একটা ছাড়া। সেটা সম্ভব হচ্ছে ভালো মানের চিকিৎসা জন্য। এখনও পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা আয়ত্তের মধ্যে বলে, সম্ভব হচ্ছে ভালো চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার। এর পর সংখ্যা বাড়লে, অনেকটাই চাপ তৈরি হবে বলে মনে করছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ দু'বছর বয়সেই যেন তোতা পাখি! মিলেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের স্বীকৃতি
পাশাপাশি, তিনি মনে করেন শতকরা আক্রান্তের সংখ্যাও কিছুটা চিন্তায় ফেলছে। কারণ যেসব জায়গায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে শতকরা সাত থেকে দশ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত। তবে ডেঙ্গি প্রাণঘাতী রোগ নয়,আক্রান্তের মধ্যে শতকার পাঁচ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তি হয়। বাদবাকি বাড়িতেই সুস্থ হয়ে ওঠে। এই মুহুর্তে জেলায় ১৪০০ মত আক্রান্ত রয়েছে যার মাধ্যে শহরের দিকেই বেশি।
আরও পড়ুনঃ বাবা-মার সম্পর্কের মাঝে পড়েই কি প্রাণ দিতে হলো ন'বছরের কিশোরকে! দানা বাঁধছে রহস্য
তবে কোন নির্দিষ্ট স্থান এই মুহুর্তে নেই, প্রায় সর্বত্রই ডেঙ্গির লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। তাই যেকোন জায়গায় মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। টেস্টের উপর যথেষ্ট জোর দেওয়া হয়েছে জেলা জুড়ে। প্রায় ৪৬ টি জায়গায় ডেঙ্গি পরীক্ষা করা হচ্ছে। তার মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ প্রজিটিভ হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত নজরদারি চালানো যাচ্ছে। রোগীকে ফোন করে, প্রতিটি হাসপাতাল সুপার নিজে রোগীর কাছে গিয়ে নজরদারি চালতে পারছেন। কিন্তু সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সমুদ্র সেনগুপ্ত।
Rudra Narayan Roy