আরও পড়ুন: খোলা আকাশের নীচে সময় কাটাতে চান? ছুটির দিনের সেরা ঠিকানা ‘সোনার গাঁ’, কোথায় জানেন?
কথিত আছে এলাকার এক ব্যবসায়ী এক মাইলের মধ্যে একবার কালীপুজা করেন। তার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি সর্বস্বান্ত হয়ে যান। এরপর থেকে আর কেউ এক মাইলের মধ্যে কালীপুজো করার সাহস দেখাননি। মটর ডালে কচুরমুখির সঙ্গে এঁচোড়-চিংড়ি ও সাদা ভাতের ভোগ রান্না হয় মাটির হাঁড়িতে। সেটাই নিবেদন করা হয় মা কালীকে। মন্দির সংলগ্ন এক মাইলের মধ্যে মাটির তৈরি কালী প্রতিমা গড়ে পুজো না করারই বসিরহাটের এই এলাকার রীতি।
advertisement
ইছামতীর তীরে মানসিংহের সঙ্গে বাংলাদেশের যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্যের যুদ্ধ হয়েছিল। কথিত আছে, সেই থেকে এই জায়গার নাম হয় সংগ্রামপুর। সে সময়ে ইছামতীর তীরে সংগ্রামপুরে ঘন জঙ্গলের মধ্যে ছিল কালীর থান। কালীভক্ত রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ইছামতীর বুকে নৌকো বিহারের সময়ে এক রাতে স্বপ্নে দেখেন, ইছামতীর উত্তর দিকের জঙ্গলের মধ্যে আলো ঠিকরে বেরোচ্ছে। তার মধ্যে দাঁড়িয়ে এক মহিলা বলছেন, এখানে কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে। পরের দিন সকালে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের স্বপ্নের কথা জানাজানি হলে মন্ত্রীর পরামর্শে জঙ্গল পরিষ্কার করে সেখানে দক্ষিণা কালীর মূর্তি খোঁজ করতে লোক পাঠানো হয়। তারপরই শুরু হয় এই পুজো।
জুলফিকার মোল্লা