মন্দির চত্বরেই বারংবার রব উঠতে থাকে 'বড় মা' 'বড় মা' বলে। বড়মার বিদায় বেলায় বহু ভক্তের চোখেই দেখা যায় জল। একবার ভক্তি ভরে প্রণামের জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন মায়ের কাছে। বড়মা ও শিবের চক্ষু বাদ দিয়ে সমস্ত স্বর্ণালংকারী খুলে দেওয়া হয়। তার বদলে সাজিয়ে তোলা হয় ফুলের অলংকার দিয়ে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ৪৪ নো এন্ট্রি পয়েন্ট, ২৫০০ পুলিশকর্মী, জগদ্ধাত্রী পুজোয় কড়া নিরাপত্তা চন্দননগরে
একে একে মাকে পরানো হয় ফুলের মুকুট, গলার মালা, পায়েও পরানো হয় ফুলের অলংকার। বড়মার বিদায় বেলার এই সাজেরই রীতি রয়েছে।নৈহাটিতে সবার প্রথমে বড়মার বিসর্জন হয়। তারপর একে একে এলাকার সব প্রতিমা বিসর্জনের পথে যায়। জেলার পাশাপাশি দেশ এমনকি বিদেশেও পৌঁছেছে এই মায়ের কথা। ভক্তদের দাবি, মা-র কাছে ভক্তি ভরে কিছু চাইলে বড় মা ফেরান না। নৈহাটি স্টেশন রোড ধরে গঙ্গার জেটি ঘাট পর্যন্ত এ দিন ছিল ভক্তদের ঢল।
নৈহাটির বড়মার মূর্তির উচ্চতা ২১ ফুট। মাচা বেধে সিড়ি দিয়ে উঠেই মা-কে পরানো হয় ফুলের অলংকার। এ বছর সব মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার ভক্ত দন্ডী কেটেছেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর চাকা লাগানো ট্রলি করে বড়মা-কে নিয়ে যাওয়া হয় বিসর্জনের ঘাটে। সেখানে অগণিত ভক্তদের উপস্থিতিতে এ বছরের মত বিসর্জন দেওয়া হয় বড়মাকে।
রুদ্র নারায়ন রায়