বর্তমানে ওই স্কুলে কোনও গ্রুপ ডি কর্মী নেই। শিক্ষকদের সংখ্যাটাও অনেক কম। মাত্র তিনজন শিক্ষক দিয়েই চলছে এই স্কুল। ২০০৪ সালে এলাকার আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া মুসলিম সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার অগ্রগতির জন্য এই স্কুল প্রতিষ্ঠিত করা হয়। কিন্তু স্কুল প্রতিষ্ঠার ১৯ বছরেও স্কুলের আর তেমন কোন সংস্কার চোখে পড়েনি। বসিরহাটের বাদুড়িয়া ব্লকের একটি ছোট্ট গ্রাম নারকেলবেড়িয়া। আর এই নারকেলবেড়িয়া গ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের স্মৃতিচারণ। এই গ্রাম জুড়ে জড়িয়ে আছে ভারতের বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী তিতুমীরের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীরত্বের কাহিনী। ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নারকেলবেড়িয়া গ্রামেই শহীদ হন তিতুমীর। আর তাঁর স্মৃতি বিজড়িত এই স্কুলের বেহাল অবস্থা ।
advertisement
আরও পড়ুন-ব্লাড প্রেশার মাপার সময় এই ভুল করছেন, ১০০-র মধ্যে ৯০ শতাংশ অজান্তেই ক্ষতি ডাকছেন!
আরও পড়ুন- হাফ প্যান্ট চোখে সানগ্লাস, বন্দুক হাতে কে এই খুদে ‘ডন’, চিনতে পারলেন কি?
স্কুলের দেওয়ালে প্যালেস্তার খসে পড়ার পাশাপাশি গজিয়েছে উঠেছে গাছপালা। স্কুলের চারিদিকে নেই কোনও বাউন্ডারির ব্যবস্থাও। স্কুলের শিক্ষকরাই স্কুল খোলেন, ঘণ্টা বাজান আবার স্কুল বন্ধও করেন। ইতিহাস বিজড়িত স্বাধীনতা সংগ্রামী তিতুমীরের স্মৃতি বিজড়িত স্কুলের বেহাল দশার মতই গ্রামের রাস্তারও বেহাল ছবি ধরা পড়ল। এবড়ো খেবড়ো কাদা রাস্তায় হাটার বিকল্প না থাকায় স্কুলে যেতেও অনীহা পড়ুয়াদের। সব মিলিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামী তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার পার্শ্বস্থ স্কুলের হাল ফিরবে কবে পথ চেয়ে ছাত্র-ছাত্রী সহ এলাকাবাসী।
জুলফিকার মোল্যা