পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদের কাজ ছিল প্রথমে লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তাদের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এবং ছবি আদায় করে নেওয়া। তারপর সেই ছবি কিছু অশ্লীল ছবির সাথে জুড়ে দিয়ে চলত নিরীহ ভদ্রলোক কিংবা ভদ্রমহিলাকে টাকা চেয়ে ব্ল্যাকমেইল করা।
আরও পড়ুনঃ টাকার জন্যই খুন! শ্যামনগরে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার-কাণ্ডে পুলিশের জালে ৪ অভিযুক্ত
advertisement
সামাজিক সম্মান নষ্টের ভয়ে নিরুপায় হয়ে টাকা দিয়ে দিতেন অনেকেই। গোটা ঘটনার পরিচালনা করা হত এই কলসেন্টার থেকেই। এ দিনের অভিযানে গ্রেফতার করা হয় মোট ২৬ জনকে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অসংখ্য মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার-সহ অন্যান্য নথিপত্র।পরবর্তীতে আরও একটি ভুয়ো কলসেন্টারের হদিশ মেলে সল্টলেক সেক্টর ফাইভে। মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে ও লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মানুষদের প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে এই কল সেন্টারের বিরুদ্ধে।
অভিযোগের ভিত্তিতে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ হানা দেয় ওই কল সেন্টারে। রাতভর তল্লাশি চালিয়ে এখনো পর্যন্ত ২২ জন যুবক ও ১২ জন মহিলাকে আটক করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর মোবাইল ও নথি। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তথ্যপ্রযুক্তি নগরী সল্টলেককে ঘিরে তাহলে কি গজিয়ে উঠছে ভুয়ো কল সেন্টারের রমরমা। পরপর এই ধরনের ভুয়া কলসেন্টারের ঘটনা সামনে আশায়, প্রশাসনের ভূমিকায়ও ফাঁক রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহলের তরফ থেকে।
রুদ্র নারায়ণ রায়