ঘটনায় অভিযুক্ত বছর ৩২ - এর মইদুল সেখ মাছ ব্যবসায়ী, সাগরদিঘী থানা এলাকায় বাড়ি। মইদুল ফেরিওয়ালা ওই পরিবারের সঙ্গে তার পূর্ব পরিচিত সূত্রে আলাপ জমায়। মুর্শিদাবাদের একই জায়গায় বসবাসের সুবাদে। এদিন বসিরহাটের মথুরাপুর গ্রামে আসে মইদুল। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন সোমা বিবি ও তার শিশুকন্যা। বাবা রেজাউল ইসলাম তখন কাজে বেরিয়েছিল। সেই সুযোগে, তার আড়াই বছরের শিশুকন্যাকে চকলেট দেওয়ার নাম করে অপহরণ করে মইদুল বলে অভিযোগ৷ এরপর ওই শিশুর মা মইদুলকে ফোন করে মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে দিয়ে যাওয়ার কথা বলতেই, মুক্তিপণ চেয়ে ফোনে হুমকি দেয় সে (North 24 Parganas News)। এমনকি পুলিশকে জানালে শিশুটিকে খুন করে মৃতদেহ প্যাকিং করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলেও ভয় দেখাতে থাকে।
advertisement
শিশু কন্যার মা কোন উপায় না ভেবে মাটিয়া থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। নড়েচড়ে বসে বসিরহাট জেলা পুলিশ। এরপর, মাটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক তাপস ঘোষের নেতৃত্বে বিশেষ দল গঠন করা হয়। একটি দল অপহরণকারীর মোবাইল ফোন ট্র্যাক করতে শুরু করে। অপর দল অপহরণকারী মইদুল ও শিশুকন্যা যেখানে ছিল সেই এলাকা ঘিরে ফেলে৷ পুলিশকে দেখে ঘটনাস্থল থেকে অপহৃত শিশু কন্যাকে ফেলে রেখেই মইদুল পালিয়ে যায়। পুলিশ শিশু কন্যাকে উদ্ধার করে। এসডিপিও অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র বলেন, "আমাদের প্রথম কাজ ছিল শিশুকন্যাকে জীবিত অবস্থায় বাবা- মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া। আমরা তা দিতে পেরে খুব খুশি।" অভিযুক্তও খুব দ্রুত গ্রেফতার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। শিশুকন্যা অপহরণের আট ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের এই সাফল্যকে রীতিমতো কুর্নিশ জানিয়েছেন অপহৃত শিশুর বাবা-মা থেকে সমাজের বিভিন্ন মহল।
Rudra Narayan Roy