এদিন কালী পুজো উপলক্ষে নৈহাটি জুড়ে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুজো উপলক্ষে চলে এলাহি আয়োজন। জেলার মধ্যে নৈহাটির শ্যামাপুজোর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ থাকে অরবিন্দ রোডের বড় কালীর। জেলার পাশাপাশি, দেশ এমনকি বিদেশেও পৌঁছেছে এই মায়ের কথা। মায়ের কাছে ভক্তি ভরে কিছু চাইলে খালি হাতে ফেরান না কারওকেই, এমনটাই ভক্তদের বিশ্বাস।
advertisement
নৈহাটি স্টেশন রোড ধরে গঙ্গার জেটি ঘাটের দিকে যেতেই চোখে পড়বে মায়ের মন্দির। পুজো উপলক্ষে সাজিয়ে তোলা হয়েছে মন্দির। তার ঠিক উল্টো দিকে রয়েছে মা। অগণিত ভক্তদের আরাধনার মধ্যেই চলে মায়ের পুজো।
আরও পড়ুন : আজ থেকে চারদিন ধরে চলবে কালীপুজোর বিসর্জন, দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্ক নবান্ন
নয় দশকেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত করে ফেলেছে এই পুজো। মাতৃ প্রতিমাই হল এই পুজোর বিশেষত্ব। নৈহাটির বড়মার মূর্তির উচ্চতা ২১ ফুট। মাচা বেঁধে সিঁড়ি দিয়ে উঠে মাকে পরানো হয় স্বর্ণালংকার।
এবছর প্রায় ৫০০০-এর বেশি ভক্ত দণ্ডি কাটেন বলে জানা যায়। মা এখানে দক্ষিণাকালী রূপে পূজিত হন। পুজোর রাতে বড়মার ভোগে থাকে পোলাও, খিচুড়ি, পাঁচ রকমের ভাজা, তরকারি, লুচি, চাটনি ও পায়েস। বিসর্জনের আগের দিন, রাতে দেবীকে লাড্ডু ভোগ দেওয়ার প্রথা রয়েছে।আজও তা পালন করা হয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা নৈহাটিতে বড়মার পুজো দিতে ছুটে আসেন। এ বছরও কয়েক লক্ষ ভক্তর সমাগম ঘটেছে বলেই জানা যায় মন্দির কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সারা বছরই মন্দিরে বড়মার নিত্য পুজো হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন : সিত্রাং-এর পর কেমন আছে দিঘা, আজ কি সমুদ্রে নামতে পারবেন পর্যটকরা, দেখুন সৈকতনগরীর ছবি
কালীপুজোর পর থেকে চার দিন দেবীর বিশেষ পুজো হয়। প্রত্যেক দিন আলাদা আলাদা ভোগ নিবেদন করা হয় মাকে। নৈহাটিতে সবার প্রথমে বড়মার প্রতিমা বিসর্জন হয়। প্রতিমা বিসর্জনেও রয়েছে অভিনবত্ব। মায়ের ও শিবের চক্ষু ছাড়া অন্য সমস্ত সোনার গহনা খুলে নেওয়া হয়। এরপর, ফুলের গহনায় মাকে সাজিয়ে তোলা হয়। অবশেষে বিশাল এই প্রতিমাকে ট্রলি করে নিয়ে গিয়ে গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয়। পুজোর পরেই গ্রহণ থাকায়, প্রসাদ দুপুরের মধ্যেই সকলকে দিয়ে দেওয়া হবে বলেই মন্দির কমিটির থেকে জানানো হয়েছে।