প্রযুক্তির যুগে অনেকটাই পেছনের সারিতে চলে গিয়েছে এই শিল্প। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের রুটি-রুজিতে টান পড়ে। পরবর্তীতে বাম জমানার অবসান ও তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এই যাত্রা শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য যাত্রা উৎসবের সূচনা করেন বারাসতের কাছারি ময়দান থেকে।
আরও পড়ুন: হুগলির চুঁচুড়ায় পালিত হল জাতীয় ভোটার দিবস
advertisement
প্রথম থেকেই বারাসতের কাছারি ময়দানে হয়ে আসছে এই যাত্রা উৎসব। বুধবার এই বছরের যাত্রা উৎসবের সূচনা করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ঘণ্টা বাজিয়ে তিনি শুভ সূচনা ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বারসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু সহ অন্যান্য বিধায়ক ও পুর প্রতিনিধিরা। অন্যান্য বছর অবশ্য স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এই যাত্রা উৎসবের উদ্বোধন করতেন। এই বছর অন্য কর্মসূচি থাকায় তিনি আসতে পারেননি।
বুধবার বারাসতে এই উৎসবের সূচনা হলেও রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তে বেশ কিছুদিন ধরে চলবে এই যাত্রা উৎসব। বিভিন্ন মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে নানান যাত্রাপালা। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এদিন দাবি করেন, যাত্রাশিল্প আগের থেকে অনেকটাই বিস্তার লাভ করেছে। এদিন যাত্রা শিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে সরকারের তরফ থেকে ১০০০ যাত্রা শিল্পীদের হাতে ভাতা তুলে দেওয়া হয়। অরূপ বিশ্বাস জানান, গ্রাম ছাড়িয়ে এখন শহর ও শহরতলীতেও যাত্রা পৌঁছে গিয়েছে। বহু মানুষ এখন যাত্রা দেখেন।
রুদ্রনারায়ণ রায়