এই মানবিক কর্মযজ্ঞের সাক্ষী থাকল উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের ঊষা ইটভাটা(North 24 Parganas News)। হাবড়ার বাসিন্দা মঞ্জু নন্দীর কাছে মৃত্যুর আগে শেষ কয়েকটি বছর কাটিয়ে ছিলেন তার মা শোভা দাস। মা ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের খুব ভালোবাসতেন। কোনো দুঃস্থ শিশু বা মহিলাদের দেখলে নিজে হাতে তাদের খাওয়াতেন। মায়ের ইচ্ছে ছিল তার মৃত্যুদিনে যেন এভাবেই দুঃস্থ বাচ্চাদেরকে পেট ভরে খাওয়ানো হয়। মায়ের শেষ ইচ্ছে পূরণ করলেন মেয়ে মঞ্জু নন্দী। মায়ের মৃত্যুবাষির্কীর দিন মঞ্জুদেবী নিজের ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন স্থানীয় অশোকনগরের বৈশাখী উৎসব কমিটিকে। তারাই তার মানবিক এই চিন্তার যথার্থ রূপ দিতে তৎপরতা দেখালেন।
advertisement
বৈশাখী উৎসব কমিটির প্রচেষ্টায় অশোকনগরের ঊষা ইটভাটায় প্রায় শতাধিক ইটভাটার শ্রমিকমহল্লার শিশু ও মহিলাদের হাতে দুপুরে খাবারের প্যাকেট তুলে দেন মঞ্জুদেবী। তার এই মানবিক প্রয়াসে, পাশে থাকতে পেরে যথেষ্ঠ উচ্ছ্বসিত বৈশাখী উৎসব কমিটির সদস্যরাও। আধ পেটা খেয়েই অধিক সময় কাটে ইটভাটার এই সমস্ত পিছিয়ে পড়া শিশুদের। একটু বড় হলেই ভাটার কাজে লেগে পরে নাবালকরাও। নিজেদের দুর্দশাময় জীবনের মধ্যেও একটা দিন একটু অন্যরকম ভাবে কাটাতে পেরে নিতান্তই খুশি এই শিশুরাও (North 24 Parganas News)। মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে ইটভাটার শিশুদের পরম যত্নে মাথায় হাত বুলিয়ে খাবার তুলে দিয়ে, তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে মানসিক তৃপ্তি নিয়ে মঞ্জু দেবী জানালেন, "তিনি প্রতিবার মায়ের মৃত্যু বার্ষিকীর দিনটি এহেন দুঃস্থ বাচ্চাদের সঙ্গেই কাটাবেন।"
Rudra Narayan Roy