তবে অন্যান্য বছরের মতো শিল্পীদের দিয়ে প্যান্ডেল তৈরির কাজ না করে, নিজেরাই এবার সিদ্ধান্ত নিলেন মন্ডপ তৈরীর। এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দারা এই পুজোকে ঘিরেই আনন্দে মেতে ওঠেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ডেঙ্গুর মতন আতঙ্ক ছড়াতেই, বদল ঘটে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল তৈরির পরিকল্পনায়। পুজোর জন্যই এলাকা বাসীরদের কাছ থেকে তোলা হয়েছিল চাঁদা। সেই চাঁদার টাকা থেকেই এবার এলাকাবাসীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শিবিরের আয়োজন করা হল পুজো মণ্ডপ প্রাঙ্গনে।
advertisement
তাই এবার তারা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে, স্বাধীনতার ৭৫ বছররে দেশমাতাকে উৎসর্গ করে, দেবীকে বরণ করে আনবেন মন্ডপে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পুজো কমিটির তরফ থেকে। দেবীর কাছে প্রার্থনা করা হবে এলাকার সকলের শারীরিক সুস্থতার। দেবিপক্ষের সূচনা কালে তাই আয়োজন করা হয়েছিল এলাকাবাসীদের সুস্থতার জন্য বিনামূল্যের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুনঃ খরা কাটিয়ে 'বাংলার তাঁতের হাট'-এ লাভের আশা দেখছেন তাঁত শিল্পীরা
পূজা কমিটির টাকায় এ ধরনের চিন্তাভাবনা আগে কখনো দেখেননি বলেও জানান ড: দেবাঙ্কুর রায়, মিতন বিশ্বাস, শুভজিৎ সাহা-রা। পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে এদিন এলাকাবাসীদের হাতে সমর্থ্য অনুযায়ী ওষুধ, ও সুস্থতার পরামর্শ দেওয়া হয় ডাক্তারদের তরফ থেকে। একদিকে যখন চলছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির, তখন অপর প্রান্তে মা দুর্গা কে নিয়ে আসতে ব্যস্ত এলাকার অনিমেষ, দেবরাজ, দেবাশীষ এর মত ছেলেরা। দিনরাত এক করে চলছে কাজ।
আরও পড়ুনঃ কান্নায় ভেঙে পড়লেন মৃৎ-শিল্পীরা! একের পর এক মূর্তির ভয়াবহ অবস্থা করল দুষ্কৃতীরা!
এদিন প্রায় ৭০ জনের উপর স্থানীয় বাসিন্দাদের রক্ত পরীক্ষা করা হয় এই স্বাস্থ্য শিবিরে। পুজো কমিটির সম্পাদক সুজয় কর্মকার বলেন, পুজো মানেই শুধু উৎসব নয়, দেশের ও দশের পাশে থাকাও। তাই এই বছর আমাদের এলাকার মানুষদের শারীরিক সুস্থতার চিন্তাভাবনার পাশাপাশি দেশাত্মবোধকে ফুঁটিয়ে তুলতেই পূজোর চাঁদা থেকেই কাটছাঁট করে, এলাকাবাসীদের জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। আর, বাকি টাকা ব্যবহার করে আমরা সকলে মিলে নিজেরাই তৈরি করছি প্যান্ডেল। আর এর মধ্যে দিয়েই এলাকা বাসীদের পাশাপাশি সম্মান জানানো হবে দেশ মাতাকে।
Rudra Narayan Roy