পাশাপাশি, সিনেমা, মাল্টিপ্লেক্স, জিম বন্ধ। বন্ধ রাখা হবে সমস্ত বিনোদন পার্কও। বেসরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ কর্মী কাজ করতে পারবেন। নৈশ কার্ফুও জারি করা হয়েছে। রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং অন্য কোনও উৎসবে সমস্ত জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দিল্লি সরকার। দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। ডেল্টার থেকে তিন গুণ বেশি সংক্রামক করোনাভাইরাসের এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন : দিল্লিতে আবাসিক চিকিৎসকের প্রতিবাদে পুলিশের লাঠি, বুধবার কর্মবিরতির ডাক দেশজুড়ে
মঙ্গলবার দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫০ ছাড়িয়েছে। ওমিক্রন আক্রান্তের শীর্ষে মহারাষ্ট্র, তার পরেই রয়েছে দিল্লি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মঙ্গলবার সকালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ওমিক্রন আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ৬৫৩। এর মধ্যে শুধু মহারাষ্ট্রেই আক্রান্ত ১৬৭ জন, দিল্লিতে আরও ১৬৫ জন। কেরালায় ওমিক্রন আক্রান্ত ৫৭ জনের হদিশ মিলেছে। তেলঙ্গানায় আক্রান্ত ৫৫ জন। গুজরাতে ৪৯, রাজস্থানে ৪৬, তামিলনাড়ুতে ৩৪ ও কর্নাটকে ৩১ জন ওমিক্রন আক্রান্ত। রাজধানীতে দিল্লিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে কঠোর পদক্ষেপ নিতে জরুরি বৈঠক হয় এদিন।
আরও পড়ুন : বন্ধ স্কুল, কলেজ, সিনেমা হল! ওমিক্রন আতঙ্কে কড়া বিধিনিষেধ ফিরল দিল্লিতে
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, করোনা সংক্রমণের হার ০.৫ শতাংশের উপর রয়েছে গত কয়কদিন ধরে। সংক্রমণে লাগাম টানতে লেভেল ওয়ান (ইয়োলো অ্যালার্ট) জারি করা হচ্ছে। বর্ষশেষের উৎসবকে কেন্দ্র করে গোটা দেশে ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : কী ভাবে ষাটোর্ধ্বরা পাবেন তৃতীয় টিকা, ১৫-১৮ বছর বয়সিদের টিকার নিয়ম কী, জানাল কেন্দ্র
দিল্লি, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক-সহ একাধিক রাজ্যে বর্ষশেষের উৎসব লাগাম টেনেছে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যে জারি হয়েছে নৈশ কার্ফু। বেড়েছে নজরদারি। রাজধানী দিল্লিতেও করোনা আচরণ বিধি মেনে চলার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। জমায়েতের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬,৩৫৮টি কোভিড পজিটিভ কেস ধরা পড়েছে দেশে। মৃত্যু হয়েছে ২৯৩ জনের।