ওই যুবতী আঁচল মামিদওয়ার অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় থানার দুই পুলিশকর্মী তাঁর দাদাকে খুনে উস্কানি দিয়েছেন।
advertisement
২০ বছরের সক্ষম টাটে খুন হওয়ার ঘটনায় আঁচলের দুই ভাই—হিমেশ ও সাহিল মামিদওয়ার এবং তাঁদের বাবা গজানন মামিদওয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তে প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে, দুই পরিবারের মধ্যে সামাজিক বিভাজন ও প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে উস্কানির অভিযোগ
আঁচল জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সকালে তাঁর ভাই হিমেশ তাঁকে ইটওয়ারা থানায় নিয়ে গিয়ে প্রেমিক সক্ষমের বিরুদ্ধে “ভুয়ো অভিযোগ” দায়ের করতে চাপ দেন। তিনি তাতে রাজি না হলে, থানা চত্বরে উপস্থিত দুই পুলিশকর্মী তাঁর ভাইকে উস্কানি দেন বলে দাবি করেন আঁচল।
পিটিআইকে তিনি বলেন, “দুই পুলিশকর্মী আমার ভাইকে বলেছিল—‘ভুয়ো অভিযোগ করে লাভ নেই, সরাসরি লোকটাকে মেরে দাও।’ আমার ভাই সেই কথাকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়।”
পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, আঁচল যে অভিযোগ করেছেন তা আগেই তাঁদের কাছে জানাননি, তবে তাঁর নতুন বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কী ভাবে খুন করা হয়?
তদন্তে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নানদেড়ের ওল্ড গঞ্জ এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন সচকম। সেখানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বচসায় জড়ান হিমেশ মামিদওয়ার। অভিযোগ, হিমেশ প্রথমে গুলি করেন, যা সচকমের পাঁজর ভেদ করে। এরপর একটি টালি বা ভারী বস্তু দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর হিমেশ, তাঁর ভাই সাহিল এবং বাবা গজনন মামিদওয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। মোট ছ’জনের বিরুদ্ধে খুন, দাঙ্গা, অস্ত্র আইন এবং তফসিলি জাতি ও জনজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনে মামলা রুজু হয়েছেঞ্চ
আঁচল দাবি করেছেন, তাঁর বাবা ও ভাইদের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক মামলা ছিল এবং তাঁরা “পুলিশের সঙ্গে সমঝোতা করে” বিষয়গুলি চাপা দিতেন। পুলিশের পক্ষ থেকে এ নিয়ে এখনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
জেলা পুলিশের এসপি অভিনাশ কুমার জানিয়েছেন, আঁচলের বয়ান সরকারি ভাবে রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, উত্থাপিত অভিযোগের সব দিক থেকে তদন্ত করা হবে।
