পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা প্রায় এক মাস ধরে দক্ষিণ দিল্লির নেব সরাই এলাকার রাজু পার্কের একটি ভাড়া বাড়িতে পারস নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে বসবাস করছিলেন।
পুলিশ জানায়, গত ৩০ জানুয়ারি, সরাই থানায় তাঁদের কাছে একটি ফোন আসে৷ সেখানে বলা হয়, রাজু পার্ক এলাকার একটি বাড়িতে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে বেধড়ক ভাবে মারধর করছে৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ৷ রক্তাক্ত, আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই তরুণীকে৷ তাঁর শরীরজুড়ে সেই সময় ২০টিরও বেশি আঘাতের চিহ্ন ছিল৷ বর্তমানে দিল্লির এইমসে চিকিৎসাধীন তিনি৷
advertisement
একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, নির্যাতিতা মহিলা জানিয়েছেন, তিনি পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং-এর বাসিন্দা৷ মাস কয়েক আগে ফোনের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে অভিযুক্ত অর্থাৎ, পারস (২৮) নামের ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ হয়।
৩-৪ মাস তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছিল। আধিকারিক জানান, ওই তরুণী বেঙ্গালুরুতে একটি কাজ পেয়েছিল৷ স্থির করেছিলেন, বেঙ্গালুরু যাওয়ার আগে তিনি দিল্লি এসে পারসের সঙ্গে দেখা করবেন। অভিযোগ, দেখা হওয়ার পর নাকি ভুলিয়ে ভালিয়ে তরুণীকে আর বেঙ্গালুরু যেতে দেননি ওই ব্যক্তি৷ দিল্লিতেই একটা চাকরি খুঁজে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন৷
ওই পুলিশ আধিকারিক জানান, পারসের আশ্বাসেই ওই তরুণী তার সঙ্গে রাজু পার্কের ভাড়াবাড়িতে থাকতে শুরু করে। কিন্তু, গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎই ওই তরুণীকে নির্যাতন করতে শুরু করে সে৷ লাগাতার ধর্ষণ, মারধর, এলোপাথাড়ি আঘাত চলতেই থাকে৷ অবশেষে সামনে আসে ঘটনা৷ গ্রেফতার করা হয় পারসকে৷ অভিযুক্ত পারসের (২৮) বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা), ৩৭৬ (ধর্ষণ) এবং ৩৭৭ (সডোমি) ধারার অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। পারস উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা এবং এখানে একটি রেস্তোরাঁয় রান্নার কাজ করতেন।