মঙ্গলবার ভোর রাতে কেরলের ওয়ানাড় জেলার মেপ্পাদির কাছে বেশ কয়েকটা পাহাড়ি এলাকায় ব্যাপক ভূমিধস হয়৷ অত্যাধিক বৃষ্টিপাতের কারণে রাত ২টো থেকে ৪টে অবধি এই ধস নামে৷
আরও পড়ুন- দায়িত্ব নিয়েই ৩ নতুন প্রতিভার খোঁজ দিলেন গম্ভীর!শক্তি অনেকটাই বাড়ল টিম ইন্ডিয়ার
প্রাথমিকভাবে মু্ন্ডকাই ও চুরালমালা অঞ্চল ধসের কারণে ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ কিন্তু কেন এই বিপর্যয়? এখনও পর্যন্ত ১৫৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ১২৮ জন আহত। এখনও একশোর বেশি মানুষ মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে।
advertisement
ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ISRO) প্রকাশিত ল্যান্ডস্লাইড অ্যাটলাস-এর তথ্য বলছে, দেশের মধ্যে সব থেকে ভূমিকম্পপ্রবণ ৩০টি এলাকার মধ্যে ১০টি কেরলে। তার মধ্যে আবার ১৩ নম্বরে ওয়ানাড়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, কেরলে এমন বিপর্যয়ের পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। একদিকে যেমন বনাঞ্চল ধংস, অন্যদিকে জয়বায়ু পরিবর্তনও বড় কারণ।
২০২১ সালের একটি গবেষণার রিপোর্ট বলছে, কেরলে প্রায় ৬০ শতাংশ ধস নামে বনাঞ্চল ও চা বাগান এলাকায়। আরও একটি রিপোর্ট বলছে, ওয়ানাড়ের ৬২ শতাংশ বনাঞ্চল ধংস হয়ে গিয়েছে।
বনাঞ্চল না থাকায় বহু জায়গায় মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে। যদিও সেখানে ২০১৯ সাল থেকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। তবে ওয়ানাড়-সহ একাধিক এলাকায় বছরের একটা সময় প্রচুর বৃষ্টি হয়। ফলে সেসব অঞ্চলে ধস নামে বেশি।
আরও পড়ুন- জড়িয়ে ধরে নিবিড় চুম্বন!প্রেসিডেন্ট-মহিলা মন্ত্রীর কাণ্ডে ছিঃ ছিঃ করছে ফ্রান্স
কোচি ইউনিভার্সিটির ডিরেক্টর এস অভিলাষ আবার দাবি করেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগর আগের থেকে অনেক বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। তার প্রভাব পড়ছে জলবায়ুতে। পশ্চিম ঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকায় ডিপ ক্লাউড সিস্টেম তৈরি হচ্ছে। ফলে অল্প সময় একটা অঞ্চলে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি হচ্ছে। তাতেই ধস বাড়ছে।