চলতি সপ্তাহেই শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন৷ বুধবার অধিবেশন শুরুর আগে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদেরা৷ সেখানেই পরবর্তী বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি সাংসদদের মোদি কড়া বার্তা দেন বলে খবর৷
আরও পড়ুন : টাকার দামে রেকর্ড পতন! ডলারের নিরিখে ৯০ ছুঁয়ে ফেলল টাকা, নড়েচড়ে বসছে আরবিআই
advertisement
বঙ্গ বিজেপির সাংসদদের উদ্দেশ্যে মোদি বলেন, ‘‘আমাদের আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং নির্বাচনে আমাদের জয় নিশ্চিত করতে হবে৷’’
এদিন বিজেপি সাংসদ খগেন মূর্মূ সংক্রান্ত হামলার ঘটনা সম্পর্কেও বিশদে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ৷ সাংসদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন৷ প্রয়োজনে নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়েও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি৷ এদিন বিজেপি সাংসদদের অতীতের যাবতীয় কর্মচেষ্টার প্রশংসা করেন তিনি৷
তৃণমূল কংগ্রেস অথবা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম সরাসরি উল্লেখ না করেও মোদি বিজেপি সাংসদদের জানিয়েছেন, তাঁরা যেন কোনও ভাবে অন্য রাজনৈতিক দল দ্বারা বিভ্রান্ত না হন৷ ২০১১ থেকে ২০১৬ হয়ে ২০২৫ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে কী ভাবে ধীরে ধীরে এগিয়েছে বিজেপি, সেই কথা মনে করিয়ে দেন তিনি৷ বলেন, দলের সাংগঠনিক ক্ষমতা এবং নিচু স্তরের কর্মীদের উপরে আস্থা রাখার কথা৷
প্রধানমন্ত্রী সাংসদদের কাছেও এসআইআর সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চান। সূত্রের মতে, তিনি দলীয় নেতাদের বলেছিলেন যে এসআইআর একটি সহজবোধ্য কাজ এবং এটিকে অতিরিক্ত জটিল করা উচিত নয়। তিনি জোর দিয়ে জানিয়েছেন যে, এই বার্তাটি অবশ্যই মাটির কাছাকাছি মানুষ পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হবে। মোদি বলেন, ‘‘এসআইআর কেবলমাত্র যোগ্য ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করা এবং যারা ভোট দেওয়ার যোগ্য নয়, তাদের বাদ দেওয়া নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া৷’’
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় বিষয়গুলি, বিশেষ করে সাংসদ খাগেন মুর্মুর উপর সাম্প্রতিক আক্রমণ সম্পর্কে সাংসদদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া জানতে চান। পাশাপাশি, নির্বাচনী এলাকার জনগণের সাথে যোগাযোগ রাখা এবং বাস্তব বোঝার প্রয়োজনীয়তার উপরে জোর দেন তিনি৷ বলেন যে, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ এবং প্রতিক্রিয়াশীল নেতৃত্বই নির্বাচনী সাফল্যের চাবিকাঠি।
বঙ্গ সাংসদদের এই প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর এবং সুকান্ত মজুমদার। আলোচনায় নির্বাচনের জন্য দলের প্রস্তুতি এবং পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে সমর্থন সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় কৌশলগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
২০২৬ এর মার্চ-এপ্রিল নাগাদই পশ্চিমবঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন৷ বিহারের ফলাফলে উদ্বুদ্ধ হয়ে নব উদ্যমে বঙ্গের তৃণমূলস্তরে নির্বাচনের কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছে বিজেপি৷ বিহার নির্বাচনের ফলাফলের পর, বিজেপি তাদের X- হ্যান্ডেলে একটি ছোট্ট বার্তা পোস্ট করেছিল, যেখানে সহজভাবে লেখা ছিল: “নেক্সট ওয়েস্টবেঙ্গল৷”
