বিয়ে সম্পূর্ণ হওয়ার অপেক্ষায় পুরো রাত সেই পিএইচডি পাশ করা মেয়েটি বিয়ের শাড়িতেই বিয়ের মন্ডপে বসে অপেক্ষা করে। এর পর সকালবেলায় ডাকা হয় পুলিশ। পুলিশ দেখেই হবু বর বিয়ে করার জন্য রাজি হয়ে যায়। সকাল ৮টার সময় হবু বর বাকি থাকা সাতপাক ঘোরার জন্য বিয়ের মণ্ডপে উপস্থিত হয়। এই ঘটনায় মেয়ের বাড়ির লোক অবাক হয়ে যায় এবং তারা হবু বরকে প্রশ্ন করতে থাকে যে, সারা রাত তাকে অনেকবার ডাকা সত্ত্বেও সে বাকি থাকা সাতপাক ঘোরার জন্য বিয়ের মণ্ডপে যখন উপস্থিত হয়নি, এখন পুলিশ দেখে সে বাকি থাকা সাতপাক ঘোরার জন্য রাজি হয়েছে কেন?
advertisement
জিন্দ নিবাসি সেই হবু বরের নাম হল নসিব। নসিব কৃষি বিভাগে সরকারি চাকরি করে। যে মেয়েটির সঙ্গে তার বিয়ে হচ্ছিল তার নাম কোমল, সে শিক্ষা বিভাগে কর্মরত। হবু বর এবং সেই পাত্রী দু'জনেই সরকারি চাকরি করে। কোমলের বাবা এনডিআরআইতে কাজ করেন। তিনি তাঁর নিজের মেয়েকে যত্ন সহকারে বড় করেছেন। তাঁদের বাড়ি উত্তরপ্রদেশে হলেও তার মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন হরিয়ানার করনাল জেলায়। জানা গিয়েছে যে যখন এই বিয়ে ঠিক করা হয় তখন ছেলের বাড়ি থেকে কোনও রকম পণের দাবি ছিল না।
কোমলের বাবা জানিয়েছেন যে, বরযাত্রী আসার পর তিনি তাঁদের রীতি অনুযায়ী হবু জামাইয়ের বাবাকে আংটি এবং হবু জামাইকে চেন পরিয়ে দেন। এর পর কোমলের বাবা বিয়ের মণ্ডপে এসে সব আচার সম্পূর্ণ করে সেখান থেকে ওঠার পরেই হবু বর নিজের গলার চেন ছুঁড়ে ফেলে দেয়। এর পর কোমলের বাবা যখন হাত জোড় করে তাঁর সামনে যান, তখন জানা যায় যে সেই হবু বরের এক বোন এবং ভাইকেও গলার চেন দিতে হবে। কোমলের বাবা দু'দিনের মধ্যে সেটা দেওয়ার কথা জানালেও সেই হবু বর গালি-গালাজ করতে শুরু করে এবং সাতপাক ঘোরার অনুরোধ খারিজ করে। এর পরেই সেই হবু বর টাকা এবং ফরচুনার গাড়ির ডিমান্ড করা শুরু করে।
পুলিশ সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর সেই হবু বর এবং তার বাড়ির লোকেরা অবশ্য ঘটনার সবটাই অস্বীকার করে। পুলিশ জানিয়েছে যে মেয়ের বাড়ির লোকেরা যদি অভিযোগ জানায় তাহলে তদন্ত করা হবে।