তবে এই অস্ত্রোপচার মোটেও সহজ ছিল না। জানা গিয়েছে প্রথমবার শিবপুরী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এই ধরনের চিকিৎসা করা হয়েছে। প্রায় ১ ঘণ্টা ১২ মিনিটের চেষ্টায় একজন মহিলার নাক থেকে বের করা হয় পাথরটি। ওই পাথরটির ওজন ছিল প্রায় ২৫ গ্রাম। আপাতত ওই মহিলাকে সুস্থ থাকলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
advertisement
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পাথর আসলে একটি সিস্ট। যা গত ১০ বছর ধরে ওই মহিলার নাকে ছিল। পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছিল যে ঠিকমত শ্বাস নিতে পারছিলেন না। এমনকী শেষ দিকে ওই সিস্ট থেকে দুর্গন্ধও বেরোতে শুরু হয়েছিল। ডা. মেঘা প্রভাকর বলেন, এই ধরনের রোগকে রাইনোলিথ ডিজিজ বলা হয়।
মেডিক্যাল কলেজের ইএনটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মেঘা প্রভাকর জানান,স্থানীয় ধোলাগড়ের বাসিন্দা সত্যবতী গোস্বামী নামে বছর ছত্রিশের ওই মহিলা গত ১০ বছর ধরে নাকে সিস্ট-এর সমস্যায় ভুগছিলেন। ওই সিস্ট থেকে এক সময় দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে। তার ফলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এন্ডোস্কোপি করে নাক পরিষ্কার করার সময় রক্ত বেরিয়ে আসে বলেও জানা যায়।
আরও পড়ুনঃ Knowledge Story: স্কুল বাস হলুদ রঙের কেন হয়, এর কারণ কী, কখনও ভেবে দেখেছেন
ওটি-তে এন্ডোস্কোপির বড় মেশিন দিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয় প্রায় ১ ঘণ্টা ১২ মিনিট ধরে। অবশেষে তাঁর নাক থেকে ২৫ গ্রাম ওজনের একটি পাথর বেরিয়ে আসে। চিকিৎসকদের দাবি, আরও কিছু দিন এই পাথর যদি ওই মহিলার নাকে আটকে থাকত তাহলে তাঁর জীবন সংশয় হতে পারত। আপাতত ওই মহিলার জ্ঞান ফিরেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। অস্ত্রোপচারও সফল বলে জানা গিয়েছে।
