বুধবার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় ছেলেটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এবং জুভেনাইল জাস্টিসে ২০০০ ধারায় বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। যদিও এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। চাইল্ডলাইনের সঙ্গে যুক্ত কর্মী ও এনজিওর সদস্য পুলিশের কাছে আবেদন জানায় এবং মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশের দাবি, পুণের কোন্ধওয়া এলাকায় একটি বাড়িতে জোর করে ১১ বছরের ছেলেকে ২০-২২টি কুকুরের সঙ্গে আটকে রাখেন বাবা-মা। এটা অপরাধ। সন্তানকে আটকে রাখা, সঙ্গে ২০টি কুকুর। কোনও অঘটন ঘটতেই পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: অবশেষে সহযোগিতা, বিজেপি যুব নেতার মৃত্যু-তদন্তে বয়ান রেকর্ড হল পরিবারের
গত ৫ মে অভিযোগকারিণী ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়েই তিনি এমন ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা জানতে পারেন। তিনি যেহেতু চাইল্ডলাইনের সঙ্গে কাজ করেন, ফলে তিনি নিজেই উদ্যোগ নেন। মহিলা দেখতে পান, একটি ঘরের জানালায় একটি বাচ্চা ছেলে এবং অসংখ্য কুকুর বসে রয়েছে। বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন, বাচ্চাটি স্কুলে যায় না। তিনি ওই দম্পতিকে বোঝান এভাবে কুকুরদের সঙ্গে বাচ্চাটিকে ঘরে আটকে না রাখতে, স্কুলে পাঠাতে।
আরও পড়ুন: 'হয় নাতি-নাতনির মুখ দেখব, নয় ৫ কোটি নেব'! ছেলের বিরুদ্ধে মামলা বাবার, কেন জানেন?
পরে ৯ মে ওই বাড়িতে ফের যান তিনি। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, বাবা-মা বাইরে গিয়েছেন। এবং সেদিনও ঘরে অতগুলি কুকুরের সঙ্গে বাচ্চাটিকে আটকে রেখে গিয়েছেন তাঁরা। এর পরই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির উদ্যোগে ওই দিনই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। বাচ্চাটির মধ্যে একটি কুকুরের মতো আচরণ লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে দাবি ওয়েলফেয়ার কর্তৃপক্ষের। আপাতত একটি শেল্টার হোমে রাখা হয়েছে তাকে। কেন এভাবে বাচ্চাকে আটকে রাখা হত, তার তদন্ত শুরু হয়েছে।