আগরতলা কেন্দ্রে তৃণমূল, বিজেপি, সিপিআইএম, কংগ্রেস, এসইউসিআই ও নির্দল প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই কেন্দ্রেই রয়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থী কংগ্রেসের সুদীপ রায় বর্মণ এবং বিজেপির অশোক সিনহা। টাউন বরদোয়ালি কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, কংগ্রেস, ফরওয়ার্ড ব্লক, এসইউসিআই ও নির্দল প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে। এই কেন্দ্রে হেভিওয়েট প্রার্থী ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, কংগ্রেসের প্রার্থী আশিস সাহা ৷ ফলে এই দুই কেন্দ্র নিয়ে আগ্রহ দানা বেঁধেছে রাজনৈতিক মহলে।
advertisement
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় আজ চার কেন্দ্রে ২২ প্রার্থীর লড়াই
জনৈক সাংবাদিকের অভিযোগ, টাউন বড়দোয়ালির একটি ভোটকেন্দ্রের কাছে নির্মমভাবে লাঞ্ছিত হন তিনি৷ সাংবাদিক বলেন, "গুন্ডারা লোকজনকে ভোট দিতে দিচ্ছিল না। যখন আমি ক্যামেরায় সেটি ধরার চেষ্টা করি, তখনই আমার ওপর প্রায় ২০-৩০ জন লোক হামলা চালায়। এটি আতঙ্কজনক মুহূর্ত ছিল। আমার ফোন, প্রেস কার্ড ছিনিয়ে নেয় এবং আমার মোটরসাইকেল ভেঙে দেয়।" ভিডিওতে দেখা যায় যে, বিজেপি কর্মীরা আগরতলা কেন্দ্রের ১১ নম্বর বুথের বাইরে জড়ো হয়ে ফোন ছিনতাই করছেন ও ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছেন।
অভিযোগ, ভোটপ্রবণ সুরমা কেন্দ্রের বুথ নং ২৩-এ, বিজেপি কর্মীরা বিরোধী প্রার্থীর বুথ এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে শারীরিকভাবে বাধা দেন। শুধু তাই নয়, আগরতলা, টাউন বড়দোয়ালি, সুরমা এবং যুবরাজনগর থেকেও ইভিএম ত্রুটির খবর পাওয়া গিয়েছে। উল্টোদিকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা জোর দিয়ে বলেছেন যে রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালিত হচ্ছে, যদিও খোদ তার নিজের নির্বাচনী এলাকা থেকে হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন-রাশিফল ২৩ জুন; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
তৃণমূলের যুবরাজনগরের প্রার্থী মৃণাল কান্তি দেবনাথের অভিযোগ, বিজেপির গুন্ডারা তার বুথ-স্তরের এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি। বিজেপির বাইক বাহিনী জনগণকে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছনোর জন্য রাস্তায় থামিয়ে দিয়েছে৷ গতকাল রাত থেকে, বিজেপি কর্মীরা ত্রিপুরার বাসিন্দাদের বোমা নিক্ষেপ করে, লোকেদের উপর হামলা করে এবং আজ ভোট দিতে বের হলে তাঁদের ভয়ানক পরিণতির হুমকি দিয়েছে। অভিযোগ, বুধবার রাতে বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের সুরমা প্রার্থী অর্জুন নমশূদ্রের উপর হামলা চালায়৷ বৃহস্পতিবার ভোট দিতে বা জমায়েত হলে তার পরিবারকে হত্যা করার হুমকি দেয়। পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এই নির্বাচনে সর্বমোট ২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের জওয়ানরাও। রাজ্যের চার কেন্দ্রের জন্য চালু করা হয়েছে ভোটার হেল্পলাইন। ফোনে ও হোয়াটসঅ্যাপে জানানো যাবে অভিযোগ। সাহায্য চাওয়া যাবে নির্বাচন সংক্রান্ত।