শুধুমাত্র প্রবল দুর্যোগই নয়, ব্যাহত হচ্ছে বহু পরিষেবা৷ ভেঙে গিয়েছে ব্রিজ, মোবাইল টাওয়ার, বিদ্যুতের খুঁটি। বিভিন্ন মোবাইল টাওয়ার ভেঙে পড়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে কমিউনিকেশন পরিষেবা বিচ্ছিন্ন৷ তাতে আরও বাড়ছে সমস্যা৷ জম্মু ও শ্রীনগর এবং কিশতওয়াড়-ডোডা হাইওয়ের মধ্য দিয়ে যাতায়াত স্থগিত রাখা হয়েছে৷ এছাড়াও বহু পাহাড়ি রাস্তা হয় ক্ষতিগ্রস্ত, নয় বন্ধ৷ জম্মু গামী ও জম্মু থেকে আসা বহু ট্রেনও বাতিল৷
advertisement
প্রবল রাতভর বৃষ্টির জেরে আপাতত বৈষ্ণোদেবী যাত্রা স্থগিত রাখা হয়েছে। জম্মুর একাধিক জেলায় বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে কারণ বড় বড় নদীগুলির জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ভক্তদের কেবলমাত্র শ্রাইন বোর্ডের সরকারি নির্দেশিকা ও আপডেট মেনে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
ঘটনাপ্রবাহ শুরু হয় ১৪ অগাস্ট থেকে৷ ওই দিন কিশতওয়াড় জেলার চিসোতি গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে হড়পা বান আসে৷ দুর্ঘটনায় প্রায় ৬৫ জন কাদামাটির স্রোতের নীচে চাপা পড়ে মারা যান৷ আহত প্রায় ১০০৷ এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ৷
আরও পড়ুন : কাশ্মীরে মৃত্যুমিছিল! বৈষ্ণোদেবী যাত্রাপথে ১৫ জন ভক্তের মৃত্যু! আহত ৬, অবস্থা আশঙ্কাজনক
জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিকে অত্যন্ত গুরুতর বলে উল্লেখ করেছেন৷ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন তিনি৷ জেলা প্রশাসনকেও অ্যালার্ট থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী ৪০ ঘণ্টায় জম্মুতে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে৷ বাসান্তর, তাউই এবং চন্দ্রভাগা নদীর জলস্তর বিপদসীমার উপর থেকে বইছে৷ নদীর তীবরবর্তী এলাকা ও বন্যাপ্রবণ এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷